• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
অত্যাধুনিক নতুন অস্ত্রের সফল পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার

অত্যাধুনিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া

ছবি : ইন্টারনেট

এশিয়া

অত্যাধুনিক নতুন অস্ত্রের সফল পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৭ নভেম্বর ২০১৮

কিম জং উনের উপস্থিতিতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির নতুন একটি অস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। গতকাল শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ কথা জানায়। তবে অস্ত্রটির ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি কেসিএনএ। খবর বিবিসি।

অস্ত্রটি দীর্ঘ সময় নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। অনেক দিন আগেই এর কাজ সম্পন্ন হলেও পরীক্ষা করা হয়নি। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া চিত্রে দেখা যায়, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র অধ্যুষিত এলাকায় এটি বানানো হয়েছে। চলতি বছর দেশটিতে এটিই গুরুত্বপূর্ণ কোনো অস্ত্রের পরীক্ষা ও পরিদর্শনের প্রথম ঘটনা। খবরে বলা হয় কিম একাডেমি অব ন্যাশনাল ডিফেন্স সায়েন্সে উচ্চ-প্রযুক্তির একটি নতুন যুদ্ধাস্ত্রের পরীক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করেছে। এর সফল পরীক্ষা হয়েছে। পরিদর্শন শেষে উত্তর কোরীয় নেতা জানায়, নতুন এ অস্ত্র আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনাকে ‘দুর্ভেদ্য’ করে তুলবে ও সেনাবাহিনীর যুদ্ধ ক্ষমতা অনেকগুণ বাড়িয়ে দেবে।

উত্তর কোরিয়ার নতুন এ অত্যাধুনিক অস্ত্রের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো পশ্চিমা দেশের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও চলতি বছরের শুরুর দিকেই উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ কর্মসূচি স্থগিত করেছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাংয়ে শীতকালীন অলিম্পিককে কেন্দ্র করে দুই কোরিয়ার সম্পর্কে বরফ গলতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত জুনে সিঙ্গাপুরে এক ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হন ট্রাম্প ও কিম।

বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করারও ঘোষণা দেন তারা। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোয় ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে আলোচনায় স্থবিরতা দেখা গেছে। ট্রাম্প ও কিমের দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠক আয়োজন নিয়ে চলতি সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যে একটি বৈঠকের পরিকল্পনা থাকলেও সেটি হয়নি।

সিঙ্গাপুরের বৈঠকের পর পিয়ংইয়ং তাদের একটি পারমাণবিক পরীক্ষা ও রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ধ্বংস করে। যুক্তরাষ্ট্র যদি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় তাহলে এ ধরনের কেন্দ্র ভেঙে ফেলারও ইঙ্গিত দেয় দেশটি।  জুনের ওই নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের প্রশংসা শোনা গেলেও ওয়াশিংটন আগের নিষেধাজ্ঞাগুলো বহাল রাখে। এ ছাড়া ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক চলতি মাসে অভিযোগ করেছে পিয়ংইয়ং গোপনে অন্তত ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির কাজ চালাচ্ছে। ওই গোপন ঘাঁটিগুলোর মধ্যে ১৩টিকে চিহ্নিত করার দাবিও করে তারা। 

তবে সিউল ও ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ওই ঘাঁটিগুলোর বিষয়ে তারা আগে থেকেই জ্ঞাত। এগুলোকে চুক্তির বরখেলাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, এক বছর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে হোয়াসং-১৫ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সময় উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে ছিলেন কিম। এরপর এটাই তার কোনো অস্ত্র পরিদর্শনের আনুষ্ঠানিক খবর বলে জানায় দক্ষিণ কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে তারা ধারণা করছে নতুন এ অস্ত্রটি ক্ষেপণাস্ত্র বা বড় কোনো মারণাস্ত্র না হয়ে সাধারণ কোনো অস্ত্র হতে পারে। ক্ষেপণাস্ত্রের বেলায় সাধারণত ‘কৌশলগত অস্ত্র’ পরিভাষাটি ব্যবহার করে তারা। এবার কেসিএনএ’র ভাষ্যে তা ছিল না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads