• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
রাখাইনে সদর দফতর ঘোষণা আরাকান আর্মির

আরাকান আর্মি প্রধান

ছবি : ইন্টারনেট

এশিয়া

রাখাইনে সদর দফতর ঘোষণা আরাকান আর্মির

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শিগগিরই অস্থায়ী একটি সদর দফতর নির্মাণ করার পরিকল্পনা করেছে সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি। আরাকানি জনগণের উদ্দেশে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এ সংগঠনের প্রধান মেজর জেনারেল তুন মিয়াত নাইং এ ঘোষণা দিয়েছেন। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে।

ইতিহাস আর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণসহ রাখাইনে সার্বভৌম কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রশ্নকে সামনে রেখে প্রচারণা চালায় আরাকান আর্মি। রাখাইনে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যের তথ্য বার বার সামনে আনার মধ্য দিয়ে সেখানকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সচেতন করে তুলছে তারা।

গত ১৪ জানুয়ারি মিয়ানমারের পুলিশ চৌকিতে আরাকান আর্মির হামলায় ১৩ জন নিহত হওয়ার জবাবে দেশটির সেনাবাহিনী তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। তখন থেকে দুই পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। ১০ ফেব্রুয়ারি দেওয়া ওই ভিডিও বার্তায় দেখা গেছে, তুন মিয়াত নাইং একদল গ্রামবাসীর সামনে বক্তব্য রাখছেন।

তিনি ঘোষণা করেন, শিগগিরই রাখাইনে সংগঠনের সদর দফতর গড়ে তোলা হবে। ভিডিওতে দেখা গেছে, বিদেশে থাকা আরাকানি জনগণকে রাখাইন রাজ্যে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন। সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিতে তাদের অনুরোধ জানাচ্ছেন তিনি। ভিডিও বার্তায় তুন মিয়াত নাইং বলেন, আমি পুরোপুরি বিশ্বাস করি আরাকানি জনগণ ও আরাকান আর্মি একে অপরের পাশাপাশি আছে। আমরা বার বারই সতর্ক করে আসছি, সরকারি সেনাবাহিনী গোটা আরাকানি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘাতে মেতেছে।

এ মাসে এ নিয়ে দ্বিতীয় ভিডিও বার্তা দিল আরাকান আর্মি। এর আগে গত সপ্তাহে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন সংগঠনের উপ প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিয়ো তুন অং। ৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ হওয়া ওই ভিডিও বার্তাটি ধারণ করা হয়েছে আরাকান আর্মির ঘাঁটি কাচিন প্রদেশের লাইজাতে। ভিডিওতে তুন অং দাবি করেছেন, তাদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী শত শত সেনা সদস্য হারিয়েছে। সম্মানহানির ভয়ে তারা হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করে না। আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধে না পেরে এখন তারা আরাকানের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চড়াও হচ্ছে। তিনি আশঙ্কা জানান, মিয়ানমার সেনাবাহিনী দমন-পীড়ন বাড়িয়ে দেবে। তারা রাখাইনে সেনাবল বৃদ্ধি করেছে। ফলে সংঘাত উত্তর রাখাইন পেরিয়ে আরো বেশি এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads