• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
খাশোগির ‘রক্তের দাম’ বাড়ি ও মাসোহারা

খাশোগির 'রক্তের দামে' সন্তানদের বাড়ি দিলো সৌদি!

ছবি : ইন্টারনেট

এশিয়া

খাশোগির ‘রক্তের দাম’ বাড়ি ও মাসোহারা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৩ এপ্রিল ২০১৯

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে হত্যাকাণ্ডের শিকার সাংবাদিক জামাল খাশোগির সন্তানদের ৪০ লাখ ডলার মূল্যের বাড়ি দিয়েছে সৌদি আরব সরকার। একই সঙ্গে তার চার সন্তানকে এখন থেকে প্রত্যেক মাসে ১০ হাজার ডলার করে সহায়তা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে এই অর্থ সহায়তা ঠিক কতদিন পাবে তারা সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। খবর বিবিসি, সিএনএন ও আলজাজিরা।

যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট গত সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। নিহতের সন্তানদের মুখ বন্ধ রাখতেই সৌদি সরকারের এমন উদ্যোগ নিয়েছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। এই দৈনিকের কলামিস্ট জামাল খাশোগি সৌদি রাজপরিবার ও সরকারের সমালোচক ছিলেন। রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা থেকে সমালোচক বনে যাওয়া প্রখ্যাত এই সাংবাদিককে গত বছরের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে হত্যা করা হয়। বাড়ি দেওয়া ও মাসোহারাকে ব্লাডমানি বা খাশোগির রক্তের দাম হিসেবে আখ্যায়িত করেছে নিউইয়র্ক পোস্ট।

নিহতের পরিবারের ঘনিষ্ঠরাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিহতের পরিবারের সদস্যরা জনসমক্ষে কী প্রতিক্রিয়া দেখান তা নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে রিয়াদের। সেই অস্বস্তি ঢাকতেই নগদ অর্থ এবং কয়েক মিলিয়ন ডলারের বাড়ি দেওয়ার এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

খাশোগি হত্যার বিচার শেষ হওয়ার পর নিহতের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে যেন আরো কয়েক কোটি ডলার ‘রক্তের দাম’ পায় তা নিয়েও মধ্যস্থতার খবর পাওয়া গেছে। এ মধ্যস্থতায়ও নেতৃত্ব দিয়েছেন যুবরাজের ভাই ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত খালিদ বিন সালমান। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। খাশোগির চার সন্তানের মধ্যে একজনই বর্তমানে সৌদিতে বসবাস করছেন। বাকিরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে শুরু থেকেই বারবার সামনে ওঠে এসেছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তী সময়ে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে খাশোগিকে হত্যার কথা স্বীকার করে রিয়াদ। তবে এখন পর্যন্ত তার মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads