ইন্দোনেশিয়ায় বিয়ের আগে যৌনসম্পর্ককে নিষিদ্ধ করতে নতুন একটি প্রস্তাবিত আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
দেশটির সংসদের সামনে ছাড়াও অন্যান্য শহরেও এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে।
ওই আইন অনুযায়ী অধিকাংশ গর্ভপাত অপরাধ হিসেব চিহ্নিত হবে এবং প্রেসিডেন্টকে অবমাননাও অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
প্রাথমিকভাবে মঙ্গলবার সংসদে এই বিলটির বিষয়ে ভোট হওয়ার কথা ছিল - তবে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো শুক্রবার পর্যন্ত ভোট স্থগিত করেন।
তিনি বলেছেন, নতুন আইন বাস্তবায়নের আগে আরো বিবেচনা প্রয়োজন।
প্রস্তাবিত বিলটি পাস হতে দেরি হলেও বিক্ষোভকারীরা মনে করছেন শেষ পর্যন্ত সংসদে বিলটি অনুমোদিত হতে পারে।
বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পাথর ছুঁড়লে পুলিশ তাদের দিকে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান থেকে পানি নিক্ষেপ করে। বিক্ষোভরত এক নারীর হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা দেখা যায়: "আমার দেহ কোনো সরকারের সম্পত্তি নয়"।
সুলাওয়েসি দ্বীপের ইয়োগিয়াকার্তা ও মাকাসা সহ আরো কয়েকটি জায়গায় দ্বিতীয় দিনের মত বিক্ষোভ চলেছে।
পশ্চিম জাভা'র ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ বছর বয়সী ছাত্র ফুয়াদ ওয়াহইউদিন রয়টার্সকে বলেন, "দূর্নীতিবিরোধী সংস্থা দূর্নীতির বিরুদ্ধে নয় বরং দূর্নীতিবাজদের পক্ষে। এই নতুন আইনের বিরোধিতা করতে সংসদে যাবো আমরা।"
জাকার্তায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাঁচ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত নতুন অপরাধ আইনে যা যা রয়েছে -
বিয়ের আগে যৌনসম্পর্ক অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং শাস্তি হিসেবে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে
বিয়ে ছাড়া একসাথে বসবাসের ক্ষেত্রে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডের শাস্তি
প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ধর্ম, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় পতাকা বা জাতীয় সঙ্গীতের মত প্রতীক অবমাননা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে
চিকিৎসাজনিত জরুরি অবস্থা বা ধর্ষণের পরিস্থিতি না হলে গর্ভপাতের শাস্তি সর্বোচ্চ চার বছরের কারাদণ্ড