• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

এশিয়া

ধর্মীয় নেতাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উত্তাল পাকিস্তান, গুলিতে নিহত ২

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৩ এপ্রিল ২০২১

আল্লামা সা’দ হুসাইন রিজভী নামে এক ডানপন্থী ধর্মীয় এক নেতাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে পাকিস্তানজুড়ে।

গতকাল সোমবার (১২ এপ্রিল) সে বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে অন্তত দুইজন নিহত এবং পুলিশসহ বহু মানুষ আহত হয়েছে। গভীর রাত গড়িয়ে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকেও বিক্ষোভ অব্যাহত।

এর আগে ওইদিনই তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান পার্টির (টিএলপি) প্রধান আল্লামা সা’দ হুসাইন রিজভীকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইসলাম নিয়ে কার্টুনের প্রতিবাদ স্বরূপ পাকিস্তান থেকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ও পণ্য আমদানি বন্ধের দাবি জানানোর একদিন পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার লাহোরে একটি শোক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া রিজভীকে গ্রেপ্তারের পরপরই বিক্ষোভ শুরু করেন তার সমর্থকরা। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তারা লাহোর, ইসলামাবাদ, পেশোয়ার ও গুজরাওয়ালার মতো প্রধান প্রধান শহরের মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে ফেলে। একইভাবে রেল যোগাযোগও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরই রিজভীর অনুসারীদের হটাতে চেষ্টা করলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন স্থানে।

দেশটির হাইওয়ে ও মোটরওয়ে পুলিশ বলেছে, টিএলপি সমর্থকরা অন্তত মহাসড়কের ৫০টি স্থানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। পাঞ্জাবের কাসুর ও নরোওয়ালের রেললাইনে অবস্থান নেন তারা।

এরইমধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশের গুলিতে ফয়সালাবাদ টিএলপির এক সমর্থক নিহত হয়। এ ঘটনার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সহিংস হয়ে ওঠে বিক্ষুব্ধরা। পরে করাচির বিক্ষোভে গুলি চালালে আরেকজনের মৃত্যু হয়।

করাচির পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজি গুলাম নবী মেমন বলেন, বিক্ষোভকারীরা নগরীর অন্তত ১০টি সড়কে অবস্থান নেন। প্রত্যেক অংশে ২০০ থেকে ৬০০ কর্মী রয়েছেন। পুলিশ তাদের সরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
একইসঙ্গে রাওয়ালপিন্ডি থেকে ৩৫ জন এবং চাকওয়াল ও গুজার থেকে ৪৯ জন টিএলপি কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে, টিএলপি সমর্থকরা মুরে ও আজাদ কাশ্মিরে যাওয়ার প্রধান সড়কের ভারা কাহুতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং তা বন্ধ করে দেন। একইসঙ্গে আথাল চৌকের যান চলাচলও বন্ধ করে দেয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads