• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯

ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংক

বন্ড ইস্যুতে গুরুত্ব এশিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৩ এপ্রিল ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) আবারো সুদের হার বাড়ানোর আগেই তহবিল বাড়াতে চায় এশিয়ার কোম্পানিগুলো। এ জন্য বন্ড ছাড়তে চায় তারা। কিন্তু অনেক বিনিয়োগকারী এখনই বন্ড কিনতে নারাজ।

সম্পদ ব্যবস্থাপকরা বলছেন, চলতি বছর বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ডলারকেন্দ্রিক বন্ড চুক্তি সম্পাদনে ব্যর্থ হয়েছে। তবে অনেক প্রতিষ্ঠানই বিনিয়োগ শ্রেণির নয়। এসব প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি বেশি। এদিকে এশিয়ার বন্ড বাজার পরিধি সঙ্কুচিত হচ্ছে বলে ২০১৭ সালে বছর উঠে এসেছে থমসন রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে। থমসন রয়টার্সের বিশেষজ্ঞরা জানান, ২০১৭ সালে এশিয়ার বন্ড বাজার পরিধি ১৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯০ হাজার কোটি ডলারে। সম্পদ বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা প্রধান ডেসমন্ড সুন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি নিয়ে অস্থিতিশীলতা বাড়ায় এশিয়ায় ২০১৭ সালে ডলারকেন্দ্রিক বন্ড ইস্যুর হার ১০ শতাংশ কমেছে।

আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ফিডেলিটি ইন্টারন্যাশনালের এশিয়ান ফিক্সড ইনকাম ইউনিটের বিনিয়োগ পরিচালনার প্রধান লুক ফ্রয়েলিচ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সুদের হার বাড়াবে বলে বাজারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আশা করছে। আর এ কারণে বাজারে তাদের মূলধন সক্রিয় রাখতে তহবিল বাড়ানোর চেষ্টা করছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তারা (সিএফও)। বহু বছর ধরেই ফেডের সুদের হার ছিল শূন্যের কাছাকাছি। কিন্তু চলতি বছর চারবারের বেশি বাড়ানো হতে পারে বলে আশা করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি ঋণে আস্থা হারিয়ে ফেলছেন।

ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান লোমবার্ড অডিয়েরের এশিয়া ফিক্সড ইনকাম বিভাগের প্রধান ধীরাজ বাজাজ জানান, ভারত থেকে ইন্দোনেশিয়া- সব দেশের বন্ড প্রদানকারীরা চুক্তি সম্পাদনে সক্ষম হননি। পাশাপাশি ঋণচুক্তি কমছে বলেও জানান তিনি। ফ্রোয়েলিচ বলছে, উচ্চ সুদের হার আকর্ষণ করতে পারেনি বিনিয়োগকারীদের। তবে বাজার পর্যবেক্ষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। উচ্চ সুদহার সংবলিত নতুন চুক্তিগুলো বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক। ফ্রোয়েলিচ আরো জানায়, চলতি বছর নতুন এশীয় ডলারকেন্দ্রিক মোট বন্ডের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি রয়েছে চীনের কাছে। কিছু প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে বন্ডের দাম বাড়াচ্ছে, আবার কেউ কেউ ঋণের বোঝা কমাতে বিক্রি করছে বন্ড। জটিলতা কমাতে কেউ আর পাঁচ বছর মেয়াদি বন্ড ইস্যু করছে না। তারা জোর দিচ্ছে তিন বছর মেয়াদি বন্ডে। আর এটা চীনের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যাচ্ছে।

সূত্র : সিএনবিসি

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads