• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

কাল্পনিক ছবি

ব্যাংক

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস

প্রত্যাশা ছাপিয়ে যাবে আন্তর্জাতিক পণ্যবাজার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ৩০ এপ্রিল ২০১৮

চলতি বছর প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাবে আন্তর্জাতিক পণ্যবাজার। চাহিদা বাড়ার কারণে ঊর্ধ্বমুখী থাকবে প্রায় সব পণ্যের দাম। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়লেও উৎপাদনে রাস টানছেন উৎপাদকরা। ফলে সরবরাহ চাপ না থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে এবার প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল গড়ে ৬৫ ডলারে বিক্রি হবে। গত বছর পণ্যটির গড় দাম ছিল ৫৩ ডলার। বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি বছরজুড়ে তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লাসহ বিভিন্ন জ্বালানির দাম বাড়বে ২০ শতাংশ। এ হার সংস্থাটির অক্টোবরের পূর্বাভাসের চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া চাহিদা ও সরবরাহে তারতম্যের দরুন ধাতুর দাম ৯ শতাংশ বাড়তে পারে। এ সময় আকরিক লোহার দাম কমলেও বাড়তির দিকে থাকবে অন্যসব ধাতুর দাম। সবচেয়ে বেশি বাড়বে নিকেলের দাম, ৩০ শতাংশ। কৃষি ও খাদ্যপণ্যের দাম ২ শতাংশের বেশি বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। উৎপাদন হ্রাসের কারণেই দাম বাড়বে এসব পণ্যের।

সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম কমবে বলে ধারণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু অর্গানাইজেশন অব পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজসহ (ওপেক) অন্য উৎপাদকরা পণ্যটির উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তে অটল থাকায় চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কমতির দিকে থাকবে। এ অবস্থায় আগামী বছরও ব্যারেলপ্রতি জ্বালানি তেলের গড় দর ৬৫ ডলারে স্থির থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ জন বাফেস জানান, এরপর দর বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ওপেক ও ওপেক-বহির্ভূত দেশগুলো উৎপাদন কমিয়ে জ্বালানি তেলের সরবরাহ ঘাটতি সৃষ্টি করে। ফলে ২০১৬ সালের শুরুর দিকে জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী থাকলেও পরবর্তীকালে বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। চলতি বছর মূল্যবান ধাতুর দাম ৩ শতাংশ বাড়ানোর পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার বৃদ্ধি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতিই এর কারণ বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads