• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠোর অবস্থানে রূপালী ব্যাংক

রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ পরিচালন মুনাফা করেছে

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ব্যাংক

খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠোর অবস্থানে রূপালী ব্যাংক

# তালিকাভুক্তির পর সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড অনুমোদন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৭ জুন ২০১৮

রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ পরিচালন মুনাফা করেছে গত বছর। লোকসান কাটিয়ে ব্যাংকটি ৫৪৩ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। ব্যাংকটিকে আরো বেশি গ্রাহকবান্ধব করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ’৭২-এর লোগো ফিরিয়ে আনা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে অটোমেশনে ব্যাংকটি এগিয়ে। আর অগ্রগতির এই ধারায় বিদায়ী বছরে সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে ব্যাংকটি।  

এসব তথ্য তুলে ধরে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলছে, অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত রেখে রূপালী ব্যাংক আরো বেশি গ্রাহকবান্ধব হয়ে উঠছে।

রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে রূপালী ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ২০১৭ সালের জন্য ২৪ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড অনুমোদন করেছেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা। ব্যাংকিং খাতে যখন নানা সমালোচনা চলছে তখন সারা বছরই ইতিবাচক আলোচনায় ছিল ব্যাংকটি। তাই ব্যাংকটিকে ঘিরে আকাশচুম্বী প্রত্যাশাও ছিল বিনিয়োগকারীদের। সেই প্রত্যাশা পূরণে সফল হয়েছে ব্যাংকটি।

এজিএমে সভাপতির বক্তব্যে রূপালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাবেক আমলা মনজুর হোসেন বলেন, বছরের শুরুতে ব্যাংকটি ৪৫ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিচালন মুনাফা করে। লোকসান কাটিয়ে ২০১৭ সালে আমরা ৫৪৩ কোটি টাকা মুনাফা করেছি। চলতি বছরে রূপালী ব্যাংক ’৭২-এর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া লোগোতে ফিরে যায়। খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠোর অবস্থানে আমরা। শীর্ষ ২০ খেলাপি থেকে আদায়ে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে শতভাগ অটোমেশনের আওতায় এসেছে রূপালী ব্যাংক।

তিনি তার বক্তব্যে ২০১৭ সালের সাফল্যের জন্য পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, শেয়ারহোল্ডার, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আতাউর রহমান প্রধান বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে রূপালী ব্যাংকই সর্বপ্রথম সব সেবা অনলাইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।

ব্যাংকের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রূপালী ব্যাংকের উপবৃত্তির টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পাঠানোকে বিশ্বের বৃহত্তম ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা বলে অভিহিত করেন। আর এসব অর্জন সম্ভব হয়েছে যোগ্য পরিচালনা পর্ষদের কারণে। তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা অত্যন্ত কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

পরিচালক একেএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাংকের বর্তমান পর্ষদ কখনো কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করে না। তিনি বলেন, রূপালী ব্যাংক বর্তমান চেয়ারম্যান ও পর্ষদের নেতৃত্বে শীর্ষে যাবে।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার আহমেদ বলেন, ব্যাংকটিকে সব রকমের সহযোগিতা করা হবে। তিনি ব্যাংকের সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেন। 

প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় রূপালী ব্যাংক। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৯১ শতাংশ শেয়ার সরকারের হাতে রয়েছে। বাকি ৯ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

এজিএমে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের পরিচালক অরিজিৎ চৌধুরী, দীনা আহসান, মহিউদ্দিন ফারুকী, আবু সুফিয়ান, একেএম দেলোয়ার হোসেন, মো. রিজওয়ানুল হুদা, অধ্যাপক ড. সুশীল রঞ্জন হাওলাদার,  মো. আবদুল বাছেত খান।

 

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads