• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
ব্যাংকের মতো এক অঙ্কে ঋণ দেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানও

সাড়ে ৬ শতাংশ সুদে সরকারি আমানত চায় নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান

ছবি সংগৃহীত

ব্যাংক

ব্যাংকের মতো এক অঙ্কে ঋণ দেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানও

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ জুলাই ২০১৮

দেশের বিনিয়োগকে গতিশীল করতে তফসিলি ব্যাংকগুলোর মতো এক অঙ্কে ঋণ দেবে দেশের সব নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। প্রাথমিকভাবে উৎপাদনশীল, রফতানিমুখী শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এটি কার্যকর করা হবে। পর্যায়ক্রমে সব বিনিয়োগে এটি কার্যকর করা হবে। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে নীতি সহায়তা চেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সব ধরনের সহায়তা দেবে বলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের জানিয়েছে।

গতকাল বিকেলে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহীদের নিয়ে বৈঠক করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নররাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের ব্যাপারে জানতে চাইলে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, দেশের অর্থনীতি, শিল্প ও বিনিয়োগের স্বার্থে আমরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারই অংশ হিসেবে আমরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করতে আগ্রহ প্রকাশ করি। আজ (গতকাল) তাই বিশেষ এ বৈঠক হলো। সেখানে আমরা বলেছি সব উৎপাদনশীল খাত, এসএমই ও নারী উদ্যোক্তারা এক অঙ্কে দ্রুতই ঋণ পাবেন। অন্য ঋণের ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর হবে। তবে আমাদের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বসতে হবে। আশা করি, বোর্ডগুলোও আমাদের অনুমোদন দেবে। জুলাই মাসেই হয়তো এসব ঠিক করা যাবে।

তিনি বলেন, তবে আমানত একটি বড় ব্যাপার। আমরা দেখেছি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সরকারি তহবিল পাবে ৬ শতাংশ সুদে। গভর্নরকে আমরা বলেছি, আমরা যাতে এর সঙ্গে কিছুটা বাড়িয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ সুদে সরকারি তহবিল পেতে পারি। কারণ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সব তারল্য উৎস ব্যাংক। তা ছাড়া আমরা ব্যক্তি খাতের আমানত হয়তো সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদে নেব। সব মিলিয়ে এক অঙ্কে সুদ কার্যকর করা সম্ভব। বাংলাদেশ ব্যাংক এমডিদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। 

আইপিডিসির এমডি বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি দাবি, বন্ড মার্কেট তৈরি করা। আমাদের দেশে ব্যাংকগুলোর বন্ড মার্কেট যেমন অগ্রগতি করতে পারেনি, তেমনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বন্ড মার্কেটও। কিন্তু খেয়াল করলে দেখব, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ড মার্কেট থেকে তাদের অর্ধেক আমানত সংগ্রহ করে থাকে।

বন্ড মার্কেট থেকে আমানত সংগ্রহ করলে ঋণের সুদের হারের নৈরাজ্য হয় না বলে এমডিরা বাংলাদেশ ব্যাংককে যুক্তি দেখান বৈঠকে। বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে এ ব্যাপারে কী করা যায় সেটি দেখবে বলে এমডিদের জানিয়েছে।   

এ সময় বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেখার আলী খান বলেন, আমরাও সরকারের নীতিনির্ধারণী চিন্তার সঙ্গে তাল মেলাতে চাই। আমরা দেশের বিনিয়োগকে গতিশীল করতে সবার সঙ্গে আছি। আজ বৈঠক করে দেখলাম। আমাদের বোর্ডগুলোতে এ ব্যাপারে শিগগিরই প্রস্তাব উপস্থাপন করে কার্যকর পদক্ষেপ নেব।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads