• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
সুদহার এক অঙ্কে নামাতেই হবে : এফবিসিসিআই সভাপতি

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ব্যাংক

সুদহার এক অঙ্কে নামাতেই হবে : এফবিসিসিআই সভাপতি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ জুলাই ২০১৮

ব্যাংক ঋণের সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনা হবে এমন ঘোষণা দিলেও অনেক ব্যাংক তা কার্যকর করেনি বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, কিছু কিছু ব্যাংক কার্যকর করেছে। তবে ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনতেই হবে। এটি করা না গেলে অনিচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ বেড়ে যাবে। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারবেন না। ব্যবসায়ের ঋণও পরিশোধ করতে পারবেন না। আমাদের কাছে অনেক ব্যবসায়ী এ ব্যাপারে তথ্য দিচ্ছেন।

ব্যবসায়ীদের এই নেতা গতকাল রোববার জাতীয় রফতানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু।

শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, সরকার বিদ্যুতে ব্যাপক উন্নতি করেছে। জ্বালানি সঙ্কট দূর করতে তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি শুরু হয়েছে। তবে আমরা ব্যবসায়ীরা জানতে চাই, আগামীতে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কী হবে। দর বাড়ানোর একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া থাকতে হবে। হঠাৎ করে শুনানি করে দর বাড়ালেই হবে না। এটি করলে ব্যবসায়ীদের সমস্যায় পড়তে হয়।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশের প্রবৃদ্ধিতে জোরাল ভূমিকা রাখছে। তবে আমাদের বিভিন্ন সময় অহেতুক বাধার মধ্যে ফেলা হয়। রফতানি করতে গিয়ে শুল্ক বিভাগের বাধার মধ্যে পড়তে হয়। নানা কাগজপত্রের নাম করে সময়ক্ষেপণ করা হয়। এর ক্ষতি আমাদের ওপর পড়ে। আর এসব কারণে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার (২০০ কোটি ডলার) রফতানি কম হচ্ছে। এসব সমস্যা দূর করা গেলে রফতানি আয় আরো বাড়িয়ে আমরা দেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করতে সরকারকে সহায়তা করব। 

তিনি বলেন, বন্দরগুলোতে পণ্যের নমুনা যাচাইয়ের নামে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। কিছু কর্মকর্তা অন্যায়ভাবে পণ্য বাইরে এনে বিক্রি করে দিচ্ছেন। আমরা জানি দুয়েকজন ব্যবসায়ী কালো। তবে তার জন্য সব ব্যবসায়ীকে কেন হয়রানি করা হবে। এসব হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্যকরণের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিদায়ী বছরে আমরা রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছি। তবে তার বড় অংশই তৈরি পোশাক খাতের ওপর ভর করে হয়েছে। আমাদের পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে। নতুন নতুন বাজার ধরতে হবে। আসবাব, চামড়াজাত পণ্যসহ কিছু পণ্যে যেভাবে প্রবৃদ্ধি হওয়ার কথা সেটি হচ্ছে না। এটি বাড়াতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads