• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
সোনা নিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান

ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংক

সোনা নিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৮ জুলাই ২০১৮

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা সোনা নিয়ে হেরফেরের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। আজ বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। 

বৈঠক শেষে অর্থপ্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আমি এটা বলতে পারি, সেখানে আসলে কী হয়েছে, তা দেখা হবে।”

তিনি বলেন, ‘কাজ করলে কিছু ধারণাগত তফাত হতে পারে। সব সোনা ঠিক আছে। ঘরেই আছে। ৪০ ক্যারেট আর ৮০ ক্যারেট নিয়ে ভুল হতেই পারে। আগে সোনা মাপা হতো মান্ধাতার আমলের নিক্তি দিয়ে। এখন আধুনিক পরিমাপক দিয়ে মাপা হয়। তাতে দশমিক ০০০০১ কম-বেশি হয়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী দেশে ফিরলে বিষয়টি সম্ভাব্য সব উপায়ে খতিয়ে দেখা হবে। জনগণের সম্পদ রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সামান্য গাফিলতির কারণে যদি কিছু ঘটে থাকে তবে সে দায় সরকারের। সরকার সব ব্যবস্থা করবে।’

গতকাল একটি জাতীয় দৈনিকে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ভুতুড়ে কাণ্ড’ শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।  শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছিল ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের চাকতি ও আংটি, তা হয়ে আছে মিশ্র বা সংকর ধাতু। ছিল ২২ ক্যারেট স্বর্ণ, হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট।

দৈবচয়ন ভিত্তিতে নির্বাচন করা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত ৯৬৩ কেজি স্বর্ণ পরীক্ষা করে বেশির ভাগের ক্ষেত্রে এ অনিয়ম ধরা পড়ে বলে জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে।

এ নিয়ে গতকাল এক সংবাদ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক রবিউল হাসান জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্ট থেকে সোনা গায়েবের ঘটনা সত্য নয়। ভল্টে রক্ষিত সোনায় কোনও ধরনের হেরফের হয়নি। জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে নথিভুক্ত করার সময়। শুল্ক গোয়েন্দারা যেভাবে ভল্টে সোনা রেখেছিল, তা সেভাবেই রয়েছে। একটি ক্লাসিক্যাল মিসটেকের কারণে স্বর্ণের মানের পার্থক্য দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে এনবিআর ও শুল্ক গোয়েন্দাকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।

ভুলের ব্যাখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, একটি রিং মানের বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব স্বর্ণকার যখন এটি পরিমাণ করেন তখন বলেছিলেন, সেই রিংয়ে ৪০ শতাংশ স্বর্ণ আছে। কিন্তু পরে প্রতিবেদন করার সময় ভুলে ৪০ কে ৮০ (ইরেজিতে শব্দ মনে করে) লিখা হয়। পরে শুল্ক গোয়েন্ট ভল্ট পরিদর্শন শেষে এ বিষয়ে প্রশ্ন তুললে তাদের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শহিদুল ইসলামও সচিবালয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads