• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
রিজার্ভ চুরি: পুরো টাকা ফেরত পাওয়ার আশা গভর্নরের

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির

সংরক্ষিত ছবি

ব্যাংক

রিজার্ভ চুরি: পুরো টাকা ফেরত পাওয়ার আশা গভর্নরের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩১ জুলাই ২০১৮

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া পুরো টাকাই ফেরত আসবে বলে জানিয়েছেন গভর্নর ফজলে কবির। তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী, সম্পূর্ণ অর্থই আমরা ফেরত পাবো। সম্পূর্ণ অর্থই যে ফেরত আসবে সে ব্যাপারে আমাদের চিন্তা-ভাবনার কোনো ঘাটতি নেই। আজ মঙ্গলবার চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় তিনি এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে ২ কোটি ডলার যায় শ্রীলঙ্কা ও ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার যায় ফিলিপাইনের জুয়ার আসরে। এর মধ্যে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার ফেরত পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পেরুলেও বাকি টাকা উদ্ধার হয়নি।
আজ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, আমরা ১৫ মিলিয়ন ডলার ফেরত পেয়েছি; বাকি প্রায় ৫১ মিলিয়ন ডলার ফেরত আনার বিষয়টি বিচারাধীন আছে। ফিলিপাইনের আদালতে এর সুরাহা হলেই আমরা টাকাটা ফেরত পাবো। পুরো টাকাই আমরা ফেরত পাবো। এতে কোনো সন্দেহ নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআই) প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান এ সময় বলেন, ফিলিপাইনের উচ্চ আদালতে একটা রায় আপিল অবস্থায় আছে। ওই আপিলের সুরাহা হলেই প্রায় ৫১ মিলিয়ন ডলার ফেরত আসবে। আর যে টাকাটা এখনো শনাক্ত হয়নি, তাও শনাক্তের বিষয়ে আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে।
নির্বাচনের বছরে টাকার প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় চলতি অর্থবছরের (২০১৮-১৯) প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) জন্য সতর্ক মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে।
নতুন মুদ্রানীতিতে ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। সরকারি ঋণের প্রাক্কলন করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ। এছাড়া অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৮ শতাংশ ধরা হয়। 
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি বছর দুইবার মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে থাকে। ছয় মাস অন্তর এই মুদ্রানীতি একটি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাই মাসে এবং অন্যটি জানুয়ারি মাসে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় সঞ্চয়পত্রে সুদের হার যৌক্তিকরণ, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে সোনায় গণ্ডগোল, ব্যাংকের সুদ নির্ধারিত ৯ ও ৬ শতাংশে আনা ও কালো টাকা পাচারের বিষয়েও বক্তব্য দেন। 
গভর্নর ফজলে কবির বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ৬ স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা, ৪২টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। এখানে স্বর্ণ হেরফেরের কোনো সুযোগ নেই। সম্প্রতি যে রিপোর্ট হয়েছে তা সামান্য ভুল বোঝাবুঝি। কাস্টমস যে সোনা জমা রেখেছিল, তাই আছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, এস এম মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংকের চেইঞ্জ ম্যানেজমেন্ট পরামর্শক আল্লা মালিক কাজমী, ব্যাংকিং রিফর্ম অ্যাডভাইজার এসকে সুর চৌধুরী, প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. ফয়সল আহমেদ, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মো. আখতারুজ্জামান প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads