• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
অদাবিকৃত আমানত যাবে সরকারি কোষাগারে

বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো

সংগৃহীত ছবি

ব্যাংক

অদাবিকৃত আমানত যাবে সরকারি কোষাগারে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে থাকা অদাবিকৃত আমানত সংক্রান্ত একটি বিশদ নীতিমালা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল বুধবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নীতিমালা অনুসারে, গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে ১০ বছর কোনো লেনদেন না হলে সংশ্লিষ্ট হিসাবে থাকা আমানত চলে যাবে বাংলাদেশ ব্যাংকে। তবে তফসিলি ব্যাংক ওই আমানত বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠনোর আগে গ্রাহককে নোটিশ পাঠাবে। গ্রাহক তিন মাসের মধ্যে কোনো উত্তর না দিলে কিংবা হিসাব সচল না করলে তার সমুদয় অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা করবে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা হওয়ার দুই বছরের মধ্যে যদি কোনো গ্রাহক তার অর্থ ফেরত পেতে আবেদন না করেন তবে তা সরকারি কোষাগারে চলে যাবে।

এতে বলা হয়েছে, সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন মোতাবেক অদাবিকৃত আমানত এবং মূল্যবান সামগ্রী সরকারি খাতে জমাকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা প্রদান করার নির্দেশনা জারি করা হচ্ছে। ওই আইন অনুযায়ী কোনো ব্যাংক কোম্পানির কোনো বাংলাদেশি শাখায় পরিশোধযোগ্য অর্থের (সরকার, নাবালক বা আদালতের অর্থ ব্যতীত) ব্যাপারে ১০ বছর পর্যন্ত লেনদেন বা যোগাযোগ করা না হলে সে ধরনের অর্থ, চেক, ড্রাফট বা বিনিময় দলিলের পাওনাদার বা পাওনাদারের পক্ষে কোনো ব্যক্তিকে এবং মূল্যবান সামগ্রীর আমানতকারীকে ৩ মাসের নোটিশ পাঠানোর বিধান রাখা হয়েছে। উল্লিখিত নোটিশ পাঠানোর ৩ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও যদি তার প্রাপ্তি স্বীকারপত্র বা কোনো উত্তর না আসে, নিয়মানুযায়ী অদাবিকৃত আমানত এবং মূল্যবান সামগ্রী সরকারি খাতে জমাকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রদান করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

সংশোধিত নীতিমালা অনুসারে দাবিহীন অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী অপরিশোধিত, বা ক্ষেত্রমতে, অফেরত অবস্থায় ব্যাংকের কাছে থাকে সেসব অর্থ বা সামগ্রীর একটি বিবরণী ব্যাংক কর্তৃক প্রত্যেক পঞ্জিকা বছর শেষ হওয়ার পরবর্তী ত্রিশ দিনের মধ্যে নির্ধারিত ফরমে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে।

অদাবিকৃত আমানতগুলো চিহ্নিত করে সুদসহ অর্থ চেক কিংবা পে-অর্ডারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংক কোম্পানিগুলোর কাছে দেশীয় মুদ্রা এবং বৈদেশিক মুদ্রা উভয় ধরনের অদাবিকৃত আমানত ও মূল্যবান সামগ্রী জমা থাকে। সময়ভেদে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের তারতম্য হওয়ার কারণে অদাবিকৃত বৈদেশিক মুদ্রার আমানত ও মূল্যবান সামগ্রী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জমাগ্রহণ, জমাগ্রহণ পরবর্তী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্থাপিত দাবিগুলো নিষ্পত্তিকরণ এবং দাবিবিহীন আমানত ও মূল্যবান সামগ্রী সরকারের কাছে ন্যস্ত করার ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ কারণে দেশীয় মুদ্রার আমানত এবং বৈদেশিক মুদ্রার আমানতের অর্থ পৃথকভাবে হিসাবায়ন করে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা প্রদান করতে হবে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী অদাবিকৃত আমানত ও মূল্যবান সামগ্রীর তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে এক বছর ধরে প্রদর্শনের লক্ষ্যে ব্যাংকগুলো ওই বিবরণীর সফট কপি বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়মিত সরবরাহ করবে।

অদাবিকৃত আমানতের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত হওয়ার পর  থেকে ২ বছরের মধ্যে গ্রাহক কর্তৃক উত্থাপিত দাবি মেটানোর পর অবশিষ্ট অর্থ বা সামগ্রী সম্পর্কে যদি আর কোনো দাবি উত্থাপন না করা হয় বা কোনো পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করা না হয় তাহলে ওই ২ (দুই) বছর সময় পার হওয়ার পর থেকে সে অর্থ বা মূল্যবান সামগ্রীর ওপর কারো কোনো দাবি থাকবে না এবং তা সরকারের সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে এবং সরকারের কাছে তা ন্যস্ত করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads