• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
এক অঙ্কে নামেনি ঋণের সুদহার

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের উপস্থিতিতে গতকাল মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চারটি সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের গৃহঋণ সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি সই হয়

ছবি: পিআইডি

ব্যাংক

এক অঙ্কে নামেনি ঋণের সুদহার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো অনেক ব্যাংকের ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামেনি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল মঙ্গলবার সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য স্বল্পসুদে গৃহঋণ দিতে ৫ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

দেশের অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধির স্বার্থে বেসরকারি ব্যাংকের মালিকরা দুই দফা সময় নির্ধারণ করে ব্যাংক ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ব্যাংকের মালিকরা এই প্রতিশ্রুতি দেন। সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলো ঋণের সুদহার এক অঙ্কে কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে ঋণের সুদহার নামিয়ে আনতে দফায় দফায় বৈঠক করেন ব্যাংকের মালিকরা।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এখনো অনেক ব্যাংক ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে (৯ শতাংশ) আনতে পারেনি। তবে আশা করছি, শিগগির তারা তা বাস্তবায়ন করবে। হয়তো কয়েক মাস সময় লাগবে। এটা করা খুবই সহজ। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো মুনাফা (প্রফিট) একটু কম করলেই হয়।

চলতি বছরের শুরু থেকে ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার টানাটানি শুরু হয়। সঙ্কট থেকে বেড়ে যায় সব ধরনের ঋণ ও আমানতের সুদহার। আমানতকারীকে কোনো কোনো ব্যাংক ১১ শতাংশ হারে সুদ দিতে শুরু করে টাকার টানাটানি দূর করতে। আবার আমানতের উচ্চ সুদহারের কারণে বিনিয়োগের সুদহার ১৭-১৮ শতাংশ দাঁড়ায়।

পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকারের নীতি সহায়তা চান বেসরকারি ব্যাংক মালিকরা। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর তারল্য সঙ্কট কাটাতে নতুন নিয়মে সরকারি আমানতের ৫০ শতাংশ পাচ্ছে বেসরকারি ব্যাংক। কমানো হয়েছে নগদ জমার হার (সিআরআর)। সব তফসিলি ব্যাংকের মোট তলবি ও মেয়াদি দায়ের সাড়ে ৬ শতাংশ হারে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে এবং ৬ শতাংশ দৈনিক হারে নগদ জমা সংরক্ষণ করার বিধান ছিল। সেটি পুনর্নির্ধারণ করা হয় সাপ্তাহিক ভিত্তিতে সাড়ে ৫ শতাংশ এবং দৈনিক ভিত্তিতে ৫ শতাংশ। আগ্রাসী ব্যাংকিং করে তারল্য সঙ্কটে পড়া ব্যাংকগুলোর ঋণ আমানত হার নির্ধারিত সীমায় নামিয়ে আনতে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, বেসরকারি ব্যাংকগুলো একগুচ্ছ সুবিধা নিয়ে গেলেও ঋণের সুদহার কমানোর ব্যাপারে তারা কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। তবে নিজেদের ঘোষণা ব্যাংকগুলো কার্যকর করছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত টিম। তারা বিভিন্ন ব্যাংক সরেজমিন তদন্ত শুরু করেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads