• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
তৃতীয় মেয়াদেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়নি

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের সোনা

সংগৃহীত ছবি

ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকে সোনা কেলেঙ্কারি

তৃতীয় মেয়াদেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়নি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৮ অক্টোবর ২০১৮

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের সোনা ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে গঠিত তদন্ত কমিটি তৃতীয় মেয়াদেও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। কমিটির সবশেষ পাওয়া এক সপ্তাহের মেয়াদ এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। তবে প্রতিবেদন প্রায় চূড়ান্ত জানিয়ে তদন্ত কমিটি সূত্র বলছে, শিগগিরই তা জমা দেওয়া হবে।

ভল্টে রক্ষিত সোনা নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দার প্রতিবেদনের বরাতে চলতি বছরের মধ্য জুলাইয়ে একটি জাতীয় দৈনিক সংবাদ প্রকাশ করে। এর পর বাংলাদেশ ব্যাংক সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি স্পষ্ট করে এবং সোনার ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ছয় সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রধান করা হয় নির্বাহী পরিচালক এনএম আবুল কাশেমকে। কমিটির বাকি সদস্যদের মধ্যে চারজন মহাব্যবস্থাপক ও একজন উপমহাব্যবস্থাপক। গত ২৪ জুলাই ওই কমিটি গঠন করা হয়।

সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটিকে প্রথমে এক মাস সময় দেওয়া হয়। তবে ওই সময় পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ছাড়া কোনো কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। পরে আরো এক মাস সময় দেওয়া হয়। এরপর দেওয়া হয় এক সপ্তাহ। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম গতকাল রোববার বাংলাদেশের খবরকে বলেন, প্রতিবেদন প্রায় চূড়ান্ত। যেকোনো সময় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হবে। শুল্ক গোয়েন্দার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ২৩ আগস্ট কাস্টম হাউজের গুদাম কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ গোলাকার কালো প্রলেপযুক্ত একটি সোনার চাকতি এবং একটি কালো প্রলেপযুক্ত সোনার রিং বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ওই চাকতি এবং আংটি যথাযথ ব্যক্তি দিয়ে পরীক্ষা করে ৮০ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা হিসেবে গ্রহণ করে প্রত্যয়নপত্র দেয়। তবে দুই বছর পর পরিদর্শন দল ওই চাকতি ও আংটি পরীক্ষা করে তাতে ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ (১১ দশমিক ২ ক্যারেট) সোনা পায়। আংটিতে পায় ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ সোনা (৩ দশমিক ৬৩ ক্যারেট)। ধারণা করা হচ্ছে, ভল্টে রাখার পর এগুলো পাল্টে ফেলা হয়েছে। এতে সরকারের ১ কোটি ১১ লাখ ৮৭ হাজার ৮৬ টাকা ৫০ পয়সা ক্ষতি হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, সোনার অলঙ্কার এবং সোনার বারে ক্যারেটের তারতম্য করা হয়েছে। ২৪ থেকে ২০ ক্যারেটের ৯৬০ কেজি সোনার বেশিরভাগের ক্ষেত্রে ভল্টে ১৮ ক্যারেট হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। কম ক্যারেটে নথিভুক্ত থাকায় নিলাম বা অন্য উপায়ে বিক্রির সময় অতিরিক্ত ক্যারেটের বিপরীতে প্রাপ্য টাকা থেকে সরকার বঞ্চিত হবে। সোনার ক্যারেটের তারতম্য ঘটানোর কারণে সরকারের ১ কোটি ৯০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৪৬ টাকা ৬৭ পয়সা ক্ষতির সুযোগ তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ভল্ট খুবই সুরক্ষিত। সেখানে ৬ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চাইলেই কেউ ঢুকতে পারে না। এমনকি গভর্নরও প্রবেশ করতে পারেন না। একটি চাবিতে ভল্ট খোলা যায় না। তাই প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিষয়গুলো স্পষ্ট করা যেত।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads