• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
যোগ্য নেতৃত্ব ও সুশাসনের উন্নয়নে ব্যাংকিং খাতে প্রশিক্ষণ জরুরি : বিআইবিএম

আজ সোমবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে এক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বিআইবিএম

সংগৃহীত ছবি

ব্যাংক

যোগ্য নেতৃত্ব ও সুশাসনের উন্নয়নে ব্যাংকিং খাতে প্রশিক্ষণ জরুরি : বিআইবিএম

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২২ অক্টোবর ২০১৮

ব্যাংকিং খাতের ব্যবস্থাপনায় জড়িতদের নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষমতা সন্তোষজনক নয়। তবে ব্যাংকে কর্মরতদের একটি বড় অংশ দাবি করেছে, কিছু ক্ষেত্রে ব্যাংকের ব্যবস্থাপকদের নেতৃত্ব খুব ভালো এবং আরো ভালো করার সুযোগ রয়েছে।এখন যোগ্য নেতৃত্ব ও সুশাসনের উন্নয়নে ব্যাংকিং খাতে বিশেষ প্রশিক্ষণ জরুরি।

বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন অভিমত তুলে ধরা হয়েছে।

সোমবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘লিডারশীপ অ্যাপ্রোসেস,অ্যান্ড ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স: দ্য কেস অব দ্যা ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে এই গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব।

গবেষণা দল শতাধিক ব্যাংকের শাখা এবং ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ওপর জরিপ করে এ প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিআইবিএমের নির্বাহী কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস.এম মনিরুজ্জামান।

বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধুরী, বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক মো: ইয়াছিন আলী; সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. কামাল হোসেন; মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সিইও) মো. সফিউল আজম; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. সাইফুল মজিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়,ব্যাংকিং খাতের ব্যবস্থাপনায় জড়িতদের নেতৃত্ব গড়পড়তা এবং সন্তোষজনক। বিশেষ করে ঋণগ্রহীতা চিহ্নিতকরণ, খেলাপী ঋণ আদায়, লক্ষ্য নির্ধারণ, ডেভেলমেন্ট ব্যাংকিং, সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা প্রণয়ন এবং ব্যাংকারদের প্রমোশনের ক্ষেত্রে ব্যাংকের বোর্ড সদস্য, শীর্ষ ব্যবস্থাপনা এবং শাখা ব্যবস্থাপকদের নেতৃত্বে ব্যাংক কর্মীরা বেশীরভাগ ক্ষেত্রে গড়পড়তা এবং সন্তোষজনক। তবে এটিকে আরো ভালো করার সুযোগ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে এস.এম মনিরুজ্জামান বলেন,ব্যাংকের দক্ষ এবং কার্যকরী নেতৃত্বের সংকটের কারণে খেলাপী ঋণ, তারল্য সংকট এবং অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে।এসব বন্ধ করতে যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন।একজন দক্ষ ব্যবস্থাপক অলাভজনক ব্যাংককে অল্প সময়ের মধ্যে লাভজনক করতে পারেন।

অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন,ব্যাংকের যারা নেতৃত্ব দেবে তাদের ব্যাংকিং ধারণা স্পষ্ট থাকতে হবে। ব্যাংকিং সম্পর্কে পুরো ধারণা না থাকলে অধস্তনদের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। ৯০ শতাংশ সিদ্ধান্ত সঠিক হলে মনে করতে হবে সে ভালো নেতা। সফলতা সবাইকে ভাগ করে নিলে আগামী দিনে কাজে সুবিধা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads