• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ডলার বাজার স্থিতিশীল করার নির্দেশ

সংগৃহীত ছবি

ব্যাংক

ডলার বাজার স্থিতিশীল করার নির্দেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩১ অক্টোবর ২০১৮

অস্থির ডলার বাজারকে স্থিতিশীল করতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রায় তিন মাস স্থিতিশীল থাকার পর চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ অস্থির হয়ে উঠেছে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার। কারসাজির অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার ৯টি ব্যাংককে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে ব্যাংকগুলোর জন্য নতুন নির্দেশনা দেওয়া হলো।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বৈদেশিক মুদ্রার আগাম বেচাকেনার নীতিমালায় সংশোধন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে চুক্তি অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রা কেনা বা বেচা সম্ভব না হলে তার মেয়াদ বাড়ানো যাবে। এ ছাড়া চুক্তিভঙ্গের কারণে লোকসানের পাশাপাশি লাভেরও অংশীদার হবেন গ্রাহক।

এতদিন লোকসান হলে গ্রাহকের কাছ থেকে কেটে নিলেও লাভের অংশ দিত না ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, আমদানি ও রফতানিকারকরা ব্যাংক থেকে তিন মাসের আগাম বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে ও বেচতে পারে। ব্যাখ্যায় বলা হয়, একজন আমদানিকারকের দায় পরিশোধের জন্য ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ ১০ হাজার ডলার প্রয়োজন। এ জন্য ব্যাংকের কাছ থেকে এখন ৮৩ টাকা ৫০ পয়সা দরে ডলার কিনে রাখলেন। বিশেষ কারণে ডিসেম্বরের ৩০ তারিখে তিনি ওই ডলার নিলেন না। ফলে ব্যাংক ওই ১০ হাজার ডলার বাজারে বিক্রি করল এবং প্রতি ডলারের দাম পেল ৮৩ টাকা। এতে ব্যাংকের ৫ হাজার টাকা লোকসান হলো। এই লোকসানের টাকা এতদিন গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করত ব্যাংক। কিন্তু প্রতি ডলার ৮৪ টাকা দরে বিক্রি করে ব্যাংকের অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা লাভ হলে তার অংশ পেত না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে লোকসানের পাশাপাশি লাভের অংশও পাবেন গ্রাহক। একই নিয়ম রফতানির বেলায়ও প্রযোজ্য হবে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ে লেনদেন শেষ না হলে ওই চুক্তি বাড়াতে পারবেন গ্রাহক। একই চুক্তি বার বার বাড়িয়ে দীর্ঘমেয়াদেও করা যাবে। প্রতি তিন মাস পর বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের লাভ-লোকসানের ভাগ নিতে হবে গ্রাহককে। তবে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে শেষ তিন মাসের সময় গ্রাহককে অবশ্যই বৈদেশিক মুদ্রা নিতে হবে। গ্রাহকদের দীর্ঘমেয়াদি বড় ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads