• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
বেসরকারি ব্যাংকগুলো বেশি সুদে কৃষি ঋণ বিতরণ করছে : গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির

সংগৃহীত ছবি

ব্যাংক

বেসরকারি ব্যাংকগুলো বেশি সুদে কৃষি ঋণ বিতরণ করছে : গভর্নর

  • বাসস
  • প্রকাশিত ২৪ নভেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, বেসরকারি ব্যাংকগুলো বেশি সুদে কৃষিঋণ বিতরণ করছে।

তিনি বলেন, ‘এতে সুবিধাভোগী কৃষকদের অনেক বেশি সুদ দিতে হচ্ছে। কৃষি ঋণে সুদের হার কম রাখার মূল উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে না।’

আজ শনিবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে আল আরাফাহ্ ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রমের উদ্বোধন ও বৃত্তিপ্রাপ্তদের সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গভর্নর ফজলে কবির বলেন, প্রতিবছর আমরা কৃষি ঋণ বিতরণের একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিলেও অধিকাংশ বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক বিশেষ করে বিদেশি ব্যাংকগুলো মাইক্রো ফাইন্যান্স ইনস্টিটউটের (এমএফআই) মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করছে। কিন্তু ঋণের সুদ হার নির্ধারিত ৯ শতাংশের মধ্যে থাকছে না। সুদের হার দ্বিগুণেরও বেশি হারে চলে যাচ্ছে। কারণ এমএফআইর সুদের হার অনেক বেশি।

তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে যথেষ্ট তারল্য রয়েছে। এ নিয়ে সন্দেহ করার কোনো কারণ নেই। আমরা অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে আছি।এখন শুধু আমাদের কর্পোরেট রেসপনসিবিলিটি পূরণ করতে হবে।এটি নিয়মিত চর্চার বিষয়।

ব্যাংকারদের উদ্দেশ্য গভর্নর বলেন, ‘আপনারা যথাযথভাবে ঋণ বিতরণ করবেন। যে কাজের জন্য ঋণ দিচ্ছেন, সেই কাজ যেন হয়, ঋণ বিতরণের পরে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখেন।’

গভর্নর আরো বলেন, আল আরাফাহ ব্যাংকের ঋণ এবং আমানতের রেশিও একটু বেশি আছে। আমানত বৃদ্ধি পাচ্ছে ১৩ শতাংশের বেশি এবং ঋণ বিতরণ বেড়েছে ১৪ শতাংশের বেশি। এটি আপনারা পরিমানমত নিয়ে আসবেন বলে আশা করছি।

কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘দেশের ব্যাংকিং খাতে সিএসআর ব্যয় প্রায় ১৯ গুণ বেড়েছে। ২০০৯ সালে মোট ব্যয় হয়েছিল ৫৫ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের জুন শেষে ব্যাংকগুলো সিএসআর খাতে ব্যয় করেছে এক হাজার ৪৯ কোটি টাকা। ব্যাংকিং খাতের জন্য একটি প্রশংসনীয় ব্যাপার।’

বৃত্তি পাওয়া দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনেকেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

প্রথমবারের মত আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক সারাদেশের উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা ২০০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিল। আগামী চার বছর বৃত্তি ছাড়াও প্রতিবছর পোশাকের জন্য ৩ হাজার টাকা এবং পাঠ্য উপকরণের জন্য ৫ হাজার টাকা দিবে। আগামী বছর থেকে প্রতিবছর ৮০০ জন করে এই বৃত্তি পাবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads