• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
স্প্রেড নির্দেশনা মানছে না ৩৬ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো

সংগৃহীত ছবি

ব্যাংক

স্প্রেড নির্দেশনা মানছে না ৩৬ ব্যাংক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮

ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের মধ্যে সুদহার ব্যবধানের (স্প্রেড) বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের  নির্দেশনা মানছে না দেশি-বিদেশি ৩৬টি ব্যাংক। এদের সবগুলোর স্প্রেডের হার নির্ধারিত সীমার বেশি।

নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকে সর্বোচ্চ স্প্রেড হওয়ার কথা ৪ শতাংশ। কিন্তু  আলোচিত ৩৬ ব্যাংকের স্প্রেড ৪ শতাংশের ওপরে। এগুলোর মধ্যে আবার ৭টি ব্যাংকের স্প্রেডসীমা ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বিভিন্ন প্রকার ঋণের সুদহার ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গত ৩০ মে আমানত ও ঋণের মধ্যকার সুদহারের ব্যবধান ৪ শতাংশে নামিয়ে আনার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু বেশিরভাগ ব্যাংকই এখনো বাস্তবায়ন করতে পারেনি সেই নির্দেশনা।

বিশ্লেষকদের মতে আমানতের বিপরীতে সুদ প্রদান, কস্ট অব ফান্ড, সিআরআর ও এসএলআর, পরিচালনা ও প্রশাসনিক খরচ এবং খেলাপি ঋণের ওপর নির্ভর করে সুদহার নির্ধারণ। ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান কমিয়ে আনা সম্ভব নয়। এই নীতি বাস্তবায়ন করতে সময়ের প্রয়োজন।

বিদেশি ৯টি ব্যাংকের মধ্যে ৭টি ব্যাংকই অমান্য করছে স্প্রেড নীতি। সার্বিকভাবে বিদেশি ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের মধ্যে সুদহারের ব্যবধান ৬.৮১ শতাংশ। ঋণ ও আমানতের মধ্যকার সুদহারের ব্যবধান ৪ শতাংশের মধ্যে থাকার কথা থাকলেও ৬ শতাংশের ওপরে সুদ নিচ্ছে চারটি বিদেশি ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, সিটি ব্যাংক-এনএ, উরি ব্যাংক এবং হংকং সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি)। এই ব্যাংকগুলোর স্প্রেড হার যথাক্রমে ৮.৫৫, ৬.৯৩, ৬.৪৯ এবং ৬.১ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সবগুলোই স্প্রেডসীমা মেনে চলছে। বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে গড় স্প্রেড হার ২.৪৩ শতাংশ। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর স্প্রেড হার রয়েছে ২.৪ শতাংশের মধ্যে।

৪০টি বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে ৪ শতাংশীয় সীমানার বাইরে রয়েছে ২৯টি ব্যাংক। সার্বিকভাবে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর স্প্রেড হার ৪.৩৯ শতাংশ। এদের মধ্যে ৩টি ব্যাংক অবস্থান করছে নির্ধারিত স্প্রেড সীমার অনেক ওপরে। তারা হলো ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের, ব্র্যাক ব্যাংক এবং এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকগুলোর স্প্রেডসীমা যথাক্রমে ৭.৪১, ৭.১৭ এবং ৬.০১ শতাংশ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে আয়োজিত (বিআইবিএম) এক সভায় বিআইবিএমের অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেখানে ২ থেকে ৩ শতাংশ স্প্রেড, সেখানে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোয় তা ৪ থেকে ৫ শতাংশ। এর প্রধান কারণ খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পাওয়া। খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে না এলে স্প্রেড কখনোই নিম্নমুখী হবে না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads