• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ব্যাংক খাতে দরকার ব্যাপক সংস্কার

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

সংরক্ষিত ছবি

ব্যাংক

ব্যাংক খাতে দরকার ব্যাপক সংস্কার

# উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সরকারের ধারাবাহিকতা চান # পাঁচ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ২০ দশমিক ১৫ ভাগ # চলতি অর্থবছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

ব্যাংক ও আর্থিক খাতে ব্যাপক সংস্কার দরকার বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তার মতে, চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ব্যাংক খাতে ছোটখাটো সংস্কার করে চালানো যাবে না। বলেন, এ খাতে বড় ধরনের সংস্কার করতে হবে। প্রথমে সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ে গুরুত্ব দিয়েছে। গ্রামেগঞ্জে ব্যাপক আকারে ব্যাংকের শাখা খোলা হয়েছে। মানুষকে ব্যাংকিংয়ে যুক্ত করা হয়েছে। এখন সংস্কার আনতে হবে।

গতকাল রোববার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত আয়োজন মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. জিয়াউল ইসলাম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল মনসুর মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামিমা নার্গিস, মোহাম্মদ দিলোয়ার বখতসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে চলতি অর্থবছরের এডিপি বাস্তবায়ন, প্রবাসী আয়, বিনিয়োগ, রাজস্ব আয়সহ বিভিন্ন সূচক নিয়ে কথা বলেন তিনি। জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ১৫ শতাংশে। গত বছরের একই সময়ে এর হার ছিল ২০ দশমিক ১১ শতাংশ। অর্থনীতির ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছর শেষে মোট দেশজ  উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২৫ থেকে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশে উন্নীত হবে বলেও ধারণা দেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

তিনি বলেন, এডিপি বরাদ্দের অর্থ ব্যয়ের দিক থেকেও এবার ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। আইএমইডির প্রতিবেদন তুলে ধরে তিনি বলেন, জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৫ মাসে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো ব্যয় করেছে ৩৬ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় হয়েছিল ৩২ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ব্যয় হয় ২৩ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৭ হাজার ১১ কোটি টাকা এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ব্যয় হয়েছিল ১৬ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা।

মন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির ক্ষেত্রে রফতানি, রেমিটেন্স, বিনিয়োগ, রাজস্ব আয় সব ক্ষেত্রেই ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৮ দশমিক ২৫ থেকে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ ছাড়া ২০২১ সাল নাগাদ প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ১০ শতাংশে। তবে এই অর্জন ধরে রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন এবং অর্থনীতির লাইফ লাইন মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন করতে সরকারের ধারাবাহিকতা থাকা প্রয়োজন। উন্নত দেশে এক সরকার যেখান থেকে শেষ করে নতুন সরকার এসে সেখান থেকেই শুরু করে। আমাদের দেশে উল্টো চিত্র। নতুন সরকার সবকিছুই নতুন করে চিন্তা করে। এতে অনেক প্রকল্প বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

বেসরকারি বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে সরকারি অর্থায়নে বেশকিছু মেগা প্রকল্প চলমান থাকার কথা জানান পরীকল্পনামন্ত্রী। এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দেশের অর্থনীতির চেহারা পাল্টে যাবে বলে ধারণা দেন তিনি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় নেওয়া প্রকল্পগুলোর ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অর্থনীতিবিদদের। আগামী নির্বাচনের পর ব্যয় পুনর্মূল্যায়ন করে এসব প্রকল্প চালু রাখার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। অন্যদিকে উন্নয়ন ধরে রাখতে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখায় গুরুত্ব আরোপ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads