• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
এ মাসেই রিজার্ভ চুরির মামলা

সংগৃহীত ছবি

ব্যাংক

এ মাসেই রিজার্ভ চুরির মামলা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২১ জানুয়ারি ২০১৯

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনতে চলতি জানুয়ারিতেই মামলা করবে বাংলাদেশ। মামলাটি করা হবে নিউইয়র্কে। আর তা কোনোভাবেই ৩ ফেব্রুয়ারি অতিক্রম করবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

গতকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, মামলায় বিবাদী কারা বা কে হবে, তা নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ ও নিউইয়র্কের আইনজীবীরা কাজ করছেন। তারাই এ বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে আইনজীবীর ফি বা কমিশন সম্পর্কে আমরা অবগত রয়েছি। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে এই বিষয়ে কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান সংবাদমাধ্যমকেও একই কথা জানিয়ে ছিলেন।

গত ১৪ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে তিনি বলেন একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ইতোমধ্যে মামলার সব বিষয় আমরা গুছিয়ে এনেছি। নির্ধারিত সময়ের আগেই মামলা করা হবে। ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করতে চাই না।

তিনি বলেন, ফিলিপাইনের আদালত মায়া দেগুইতোকে ৩২-৫৬ বছরের কারাদণ্ড এবং উত্তর কোরিয়ার নাগরিক পার্ক জিন হিয়কের জড়িত থাকার বিষয়টি সামনে রেখে মামলাটি সাজানো হচ্ছে। এই মামলার মাধ্যমে চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।

জানা গেছে, মামলায় ম্যানিলাভিত্তিক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনকে (আরসিবিসি) দায়ী করে মামলা সাজানো হচ্ছে। এর আগে গত নভেম্বরে ফেডের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক (ফেড) বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির অর্থ উদ্ধারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। ফেডের পক্ষ থেকে এ ধরনের আশ্বাস পাওয়ার ব্যাপারটি ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রসঙ্গত, সিস্টেম হ্যাক করে ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। হ্যাকাররা ওই অর্থ ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখার চারটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে। সেখান থেকে ওই অর্থ ফিলিপাইনের মুদ্রা পেসোতে রূপান্তরের পর দুটি ক্যাসিনোতে পাঠানো হয়। রিজার্ভ চুরির এই ঘটনায় দোষী প্রমাণ হওয়ায় গত ১০ জানুয়ারি আরসিবিসির সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মায়া দেগুইতোকে সাজা দেন ফিলিপাইনের আদালত। এ ছাড়া তাকে সর্বমোট ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়েছে।

চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কা থেকে দুই কোটি ডলার ফেরত এসেছে। কিন্তু ফিলিপাইনে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে এখনো ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার ফেরত আসেনি। এই অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করা হবে। এ জন্য দেশটিতে দুটি ল’ ফার্মকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের ফি নিয়ে একটি চুক্তিও করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads