• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছাতে চায় রূপালী ব্যাংক

সংগৃহীত ছবি

ব্যাংক

প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছাতে চায় রূপালী ব্যাংক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ জুন ২০১৯

সরকারের সব ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আগামীতে আরো বেশি সম্পৃক্ত থাকবে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক। একই সঙ্গে ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নির্দেশনা পরিপালনে সর্তক থাকবে। আর প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় আর্থিক সেবা পৌছে দিতে কাজ করবে ব্যাংকটি।

রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে রূপালী ব্যাংকের ৩৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায়-এজিএম ব্যাংকটির কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছে।

এজিএমে ২০১৮ সালের জন্য  ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড অনুমোদন করেছেন ব্যাংকটির শেয়ার হোল্ডাররা। ব্যাংকিং খাত নিয়ে যখন নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে তখন সারা বছরই ইতিবাচক আলোচনায় ছিল ব্যাংকটি। তাই ব্যাংকটির এজিএম ঘিরে প্রত্যাশাও ছিল বিনিয়োগকারীদের। সেই প্রত্যাশা পূরণে সফল হয়েছে রূপালী ব্যাংক।

এজিএমে সভাপতির বক্তব্যে রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য মনজুর হোসেন বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের উন্নয়নে নিয়ামকের ভূমিকা পালন করে চলেছে রূপালী ব্যাংক। সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে রূপালী ব্যাংকের সার্বিক সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আতাউর রহমান প্রধান বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে যে বিষয়গুলো পরিপালন করতে বলা হলো তা সবগুলোই পরিপালনযোগ্য এবং আমরা এগুলো পরিপালন করার জন্য সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকবো। ২০১৬ সালে যখন আমরা দায়িত্ব নেই তখন এটি ছিল একটি লোকসানি ব্যাংক। তখন ব্যাংকের লোকসান ছিল ১০০ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে এসে ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ৫৩৭ কোটি টাকা। আর ২০১৮ সালেও এই মুনাফার ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে সরকার, রেগুলেটরি বডি, পরিচালনা পর্ষ, ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অব্যাহত সমর্থনের ফলে।

রাষ্ট্রায়ত্ব চারটি ব্যাংকের মধ্যে রূপালী ব্যাংক সবচেয়ে ছোট হলেও গ্রাহক সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় ব্যাংক। বর্তমানে ব্যাংকটির দুই কোটির ওপরে গ্রাহক রয়েছে।

রূপালী ব্যাংক এককভাবে ১২০ মিলিয়ন ডলার এফডিআই (প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ) দেশে এনেছে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ.বি.এম রুহুল আজাদ বলেন, ব্যাংকের ধারণা এখন আর আগের মতো নেই। শুধু টাকা জমা দেওয়া, টাকা নেওয়া, মুনাফা করা নয়, ব্যাংকের সেবা এখন অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে প্রতিনিয়ত সকালে যখন আমরা পত্রিকা পড়ি তখন দেখতে পাই পত্রিকার একটা বড় অংশ জুড়ে আর্থিক খাত ও শেয়ার বাজারের সংবাদ। আর এসব সংবাদের মধ্যে ইতিবাচক সংবাদ খুব কমই থাকে যদিও ব্যাংকগুলো অনেক ইতিবাচক কাজ করে। পত্রিকায় যেসব সংবাদ আসে সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে আমরা আরও ভালো কাজ করতে চাই। ব্যাংকিং সেক্টরের মধ্যে এই রূপালী ব্যাংকের অনেক সাফল্য রয়েছে। আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দোড়গোরায় দাঁড়িয়ে। যত দ্রুত উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে ততই আর্থিক খাত শক্তিশালী হবে।

এ সময় জানানো হয়, সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা সবার আগে রূপালী ব্যাংকই চালু করেছে। আমার বিশ্বাস, সামনে যত আধুনিক ধ্যান ধারনা আসবে সেগুলোও রূপালী ব্যাংক সবার আগে বাস্তবায়ন করে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করবে। এর পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষায় রূপালী ব্যাংক যেসব কাজ করছে এর আওতা আরও বাড়াতে হবে। কারণ, মুনাফাই মূখ্য বিষয় নয়। মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়াই মূল লক্ষ্য। সেবার মানও আরও বাড়াতে হবে। আর সেবা বাড়লে মুনাফা এমনিতেই বাড়বে। রূপালী ব্যাংকের উন্নয়নে সরকারের সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দেন তিনি।

৩৩তম সাধারণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালক অরিজিৎ চৌধুরী, আবু সুফিয়ান,  একেএম দেলোয়ার হোসেন এফসিএমএ, সীনা আহসান, মো. খলিলুর রহমান, মো. রিজওয়ানুল হুা, মো. আবদুল বাছেত খান।

১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত হয় রূপালী ব্যাংক। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৯১ শতাংশ শেয়ার সরকারের হাতে রয়েছে। এজিএমে অন্যান্যদের মধ্যে শেয়ার হোল্ডাররা, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোরশেদ আলম খন্দকার, বেলায়েত হোসেন, মহাব্যবস্থাপকরাসহ ব্যাংকের কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads