• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
নয়-ছয় সুদ হার অর্থনীতিকে নতুন উচ্চতায় নেবে

ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ

ছবি : সংগৃহীত

ব্যাংক

একান্ত সাক্ষাৎকার

নয়-ছয় সুদ হার অর্থনীতিকে নতুন উচ্চতায় নেবে

  • সাইদ আরমান
  • প্রকাশিত ২৬ জানুয়ারি ২০২০

অর্থনীতির জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু সিদ্ধান্ত ও কাজ হয়েছে সরকারের চলতি মেয়াদে। এসব সিদ্ধান্ত ও কাজ অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, বিচক্ষণ ও সুচিন্তিত এসব সিদ্ধান্তের ওপর ভর করে আমাদের অর্থনীতি নতুন উচ্চতায় চলে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামাল এ জন্য প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। তাদের সঠিক নির্দেশনা ও সিদ্ধান্তই অর্থনীতিকে বড় নাড়া দিয়েছে।

এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। গত বুধবার বাংলাদেশের খবরের মুখোমুখি হয়েছিলেন এই ব্যাংকার। কথা বলেছেন অর্থনীতি ও ব্যাংকিং খাতের নানা বিষয়ে। গত আগস্ট মাসে তিনি এমডি হিসেবে এই ব্যাংকের দায়িত্ব নিয়েছেন।

বিশিষ্ট এই ব্যাংকার ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট থেকে ২০১৯ সালের ২১ আগস্ট পর্যন্ত সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তার দায়িত্ব পালনকালে ব্যাংকটি রাষ্ট্রের কোষাগারে মুনাফা দিয়েছে ৪ হাজার ১০১ কোটি টাকা। অথচ ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকটি লোকসান করেছিল ৩৪৬ কোটি টাকা। ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের সময়ে সোনালী ব্যাংক শ্রেণিকৃত ঋণের ৬ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা আদায় করেছে, যা সোনালী ব্যাংকের ইতিহাসে কখনো হয়নি। এছাড়া দায়িত্ব পালনকালে ২১৩টি লোকসানি শাখা কমাতে পেরেছেন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। ২০১৬ সালের জুনে সোনালীর লোকসানি শাখা ছিল ২৭৪টি। ২০১৯ সালের জুনে লোকসানি শাখা কমে দাঁড়িয়েছে ৬১টিতে। এদিকে আলোচ্য তিন বছরে সোনালী ব্যাংকের আমানত বেড়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। ঋণ ও অগ্রিম বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা।

সোনালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত কর্মসংস্থান ব্যাংকের এমডি পদে কর্মরত ছিলেন। এরও আগে তিনি অগ্রণী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৩ সালে অগ্রণী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার পদে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু হয়। দীর্ঘ ৩৬ বছরের পেশাজীবনের প্রতিটি দায়িত্ব সাফল্য ও দক্ষতার সঙ্গে পালন করে চলেছেন এই ব্যাংকার।

সাক্ষাৎকারের শুরুতে মুজিববর্ষের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমরা মুজিববর্ষের জন্য অধীর আগ্রহে অপক্ষো করছি। মুজিববর্ষ ঘিরে দুটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এই ব্যাংকে। একটি হচ্ছে কৃষিখাত, অন্যটি হচ্ছে গ্রাহক সেবায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে ডিজিটাল ব্যাংকে রূপান্তর। মুজিববর্ষ আসার আগেই কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তিতে নতুন নতুন পণ্য ও সেবা নিয়ে আসা হবে। 

কৃষি অগ্রাধিকার ব্যাখ্যায় এই ব্যাংকার জানান, বঙ্গবন্ধু একটি ভাষণে বলেছিলেন, আমাদের দেশের মাটি উর্বর। সারা পৃথিবীর মাটি এতটা উর্বর নয়। এখানে কেন একটি ফসল হবে। এখানে একাধিক ফসল হবে একই জমিতে। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হয়েছে। বর্তমানে খাদ্যশস্য উৎপাদন সাড়ে ৪ কোটি মেট্রিক টন ছাড়িয়ে গেছে। বিগত এক দশকে খাদ্যশস্য উৎপাদন বেড়েছে প্রায় এক কোটি টন। আমরা এখন ধান উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ। সবজিতে আমরা তিনে এসেছি, মাছ চাষে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান আজ চার। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেসব স্বপ্ন আজ পূরণ করছেন।

তবে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। সঠিক মূল্য থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। এটা সরকারের একার কাজ নয়। আমাদের সবাইকে এজন্য কাজ করতে হবে। তাই কৃষি খাতে আরো মনোযোগ দিতে চাই, যোগ করেন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।

গতানুগতিক কৃষিতে আটকে না থেকে রূপালী ব্যাংক এই বছর প্রান্তিক কৃষকদের কাছাকাছি যাবে বলে জানান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। কৃষি খাত নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে জাতির পিতা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন কৃষি এবং কৃষককেই। ‘সোনার বাংলা’র শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তুলতে কৃষকদের নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে গেছেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। তাই বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষকের জন্য আমরা নিয়েছি এক যুগান্তকারী উদ্যোগ। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষকদের মাঝে বিনাসুদে (শূন্য সুদ) কৃষি ঋণ দেওয়া হবে। কৃষকদের সঙ্গে সঙ্গে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়াবে বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি। আর বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতি এখনো কৃষিনির্ভর হওয়ায় পুরো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাতেই বেশ ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে বিনাসুদে ঋণ বিতরণের এই উদ্যোগ। গতি বাড়াবে সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে।

কৃষকের লোকসানের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার কথা জানিয়ে এই পেশাদার ব্যাংকার বলেন, প্রান্তিক চাষিরা সঠিক মূল্য পান না। এর নানা কারণ থাকতে পারে। কৃষিপণ্য পচনশীল। মজুদ করার ব্যবস্থা নেই। তাই আগাম বিক্রি করে দিতে হয়। এর সঙ্গে মধ্যস্বত্বভোগীরাও জড়িত। কৃষক তিন চার মাস ফসলের জন্য মাঠে থেকে কষ্ট করে যা উপার্জন করতে না পারেন ফড়িয়ারা এক দিনে তার থেকে বেশি আয় করে। আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ভোক্তা ও কৃষকের মেলবন্ধন করে দিতে চাই। টমেটো, আদা, হলুদে কাজ করব। তবে আমরা পেঁয়াজেও গুরুত্ব দিতে যাচ্ছি। টিএমএসএস আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চায়। বগুড়ায় মসলা গবেষণা কেন্দ্রকে সম্পৃক্ত করা হবে। 

আলাপকালে রূপালী ব্যাংকের এমডি বলেন, কৃষির সঙ্গে আমরা মুজিববর্ষে ডিজিটাল কার্যক্রমে অগ্রাধিকার দিতে চাই। মুজিববর্ষকে ঘিরে আমরা শীর্ষ ব্যাংকগুলোর সারিতে আসতে চাই। আমি নাম্বার ওয়ান বলতে চাই না। কারণ ডিজিটাল কার্যক্রমে বেসরকারি কোনো কোনো ব্যাংক অনেক এগিয়ে আছে। আমরা সেসব ব্যাংকের কাতারে উঠে আসতে পরিকল্পনা ও উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। একটি কথা মনে করতে চাই, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছেন, স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন, আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য ছেলে ও তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়েরও স্বপ্ন তাই।

তার মতে, রূপালী ব্যাংকের বিদায়ী এমডি আতাউর রহমান প্রধান ব্যাংকটিকে চমৎকারভাবে গুছিয়ে রেখে গেছেন। আর্থিক সূচকে উন্নতি করেছে বিগত এমডির মেয়াদে। অনেক ভালো ভালো গ্রাহক যোগ হয়েছে ব্যাংকের পরিবারে। রূপালী ব্যাংকের শক্তি ব্যাংকটির তরুণ কর্মকর্তারা। অন্য ব্যাংকগুলোতে এমনটি নেই। তরুণরা মহাব্যবস্থাপক হয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের তরুণ শক্তির দিকে নজর দিয়েছেন। তরুণরা দেশটির চালিকা শক্তি। এই সুযোগটি আমরাও নিতে চাই। এই ব্যাংকটি বহু দূর যাবে তরুণ কর্মী ও তাদের দক্ষতার ওপর ভর করে।

খেলাপি ঋণের প্রসঙ্গ টেনে সোনালী ব্যাংকের সাবেক এই এমডি বলেন, আমরা রাষ্ট্রায়ত্ত ৪টি ব্যাংক একসঙ্গে কাজ করি। সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী হিসেবে আমরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন আমাদের সমৃদ্ধির বছর চলছে। খেলাপি ঋণ অনেক কমিয়ে এনেছি। লোকসানি শাখাও কমছে। তবে খেলাপি ঋণকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করা যায়নি। কিছু শাখার কারণে খেলাপি ঋণের পরিমাণ অনেক। তবে এমন অনেক শাখা আছে, যার খেলাপি ঋণ শূন্য। খেলাপি ঋণ কমানোর দিকে আমাদের মনোযোগ সব সময়। আমি আজও একজন গ্রাহকের সঙ্গে মিটিং করেছি। বড় বড় খেলাপির দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।

রূপালী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর উদ্যোগ প্রায় চূড়ান্ত বলেও জানান তিনি। রূপালী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন দেড় হাজার কোটি টাকা দাঁড়াবে, যোগ করেন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।

তিনি অর্থনীতির সামগ্রিক চিত্রের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, অর্থনীতির জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু কাজ হয়েছে সরকারের চলতি মেয়াদে। প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী এজন্য প্রশংসা পাবার যোগ্য। তাদের সঠিক নির্দেশনা ও সিদ্ধান্ত অর্থনীতিকে বড় নাড়া দিয়েছে। সারা দিন কাজ করে কোনো ফল না এলে তার কোনো মানে হয় না। এমন কাজ করতে হবে, যার সুফল পাওয়া যাবে। প্রবাসী আয়, খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল ও এক অঙ্ক সুদের ঋণ প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত। আমি এটিকে বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত হিসেবে বিষেশায়িত করতে চাই, যা অর্থনীতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতির ভালো ব্যবস্থাপক। অপরদিকে, অর্থমন্ত্রী প্রায়োগিক জ্ঞানে দক্ষ। এর একটি হচ্ছে, প্রবাসী আয়ে ২ শতাংশ নগদ সহায়তার ঘোষণা, যা চূড়ান্ত হয়েছে। ফলে প্রবাসী আয় বেড়ে যাচ্ছে। বড় উল্লম্ফন এসেছে প্রবাসী আয়ে। একইভাবে খেলাপি ঋণ নিয়ে পুনঃতফসিলের সুযোগ দিয়েছেন ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে। রূপালী ব্যাংক এর আওতায় ২০ কোটি টাকা নগদ আদায় করতে পেরেছে। প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়মিতকরণ করা হয়েছে। সমালোচনা করলেও এর ইতিবাচক দিক অনেক।

ঋণ ও আমাদের সুদ হার নিয়ে বড় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একটি দেশের উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ দরকার। আর সেটি হতে হবে সহনীয় সুদে। এত উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করা যাবে না। পৃথিবীর কোথাও এত বেশি সুদ নেই। উৎপাদন খরচের বড় অংশ চলে যাচ্ছে সুদ পরিশোধে। তাই প্রধানমন্ত্রী সঠিক দিকনির্দেশনা দেন। আমানতের সুদ হার হবে ৬ শতাংশ, ঋণের ৯ শতাংশ। এর ফলে অর্থনীতি নতুন উচ্চতায় যাবে।

তবে এখানে আমার কিছু পরামর্শ রয়েছে। ছয়-নয় সুদ হার কার্যকর করার দায়িত্ব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দক্ষতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। নয় শতাংশ সুদ আমরা দ্রুতই কার্যকর করেছি। কারণ আমাদের তহবিল ব্যয় অনেক ব্যাংকের থেকে কম। তবে অনেক ব্যাংকের জন্য সময় লাগতে পারে। যাদের খেলাপি ঋণ বেশি, আমানত কম, মূলধন ঘাটতি ও তহবিল ব্যয় বেশি তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এজন্য সঠিক পরিকল্পনা থাকতে হবে। কেবল সুদ থেকে আয়ের ওপর নির্ভর করলে হবে না। কমিশন আয় কীভাবে বাড়ানো যায় সেই পরিকল্পনা নিতে হবে। সুদের থেকে আড়াই গুণ আয় সম্ভব কমিশন থেকে। 

জানা গেছে, মুজিববর্ষের স্পর্শে স্পন্দিত রূপালী ব্যাংক ১ জানুয়ারি থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে টমেটো চাষিদের মধ্যে ‘জিরো কুপন লেন্ডিং’ কর্মসূচির আওতায় ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে। পাইলট প্রকল্প হিসেবে নাটোরের ৫শ টমেটো চাষিকে ৫০ হাজার টাকা করে ঋণ বিতরণ করেছে রূপালী। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৯-২০ অর্থবছরের কৃষিঋণ নীতিমালা অনুযায়ী এই পরিমাণ ঋণ দিয়ে কৃষক ১ দশমিক ২৯ একর জমিতে টমেটো চাষ করতে পারবে। এই ঋণ প্রকল্পের নথি পর্যালোচনা করে দেখা দেছে, প্রতিটি ঋণের মেয়াদ থাকবে ছয় মাস। গ্রীষ্মকালীন টমেটো ও রবি টমেটো চাষের জন্য বছরে দুইবার ঋণ বিতরণ করবে ব্যাংকটি। রবি চাষের জন্য ১৫ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর এবং গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই ঋণ বিতরণ করা হবে। রবি চাষের জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে হবে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এবং গ্রীষ্মকালীন সময়ের জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে হবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads