• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
কৃষক খুঁজে ঋণ দিচ্ছে কৃষি ব্যাংক : চেয়ারম্যন মোহাম্মদ ইসমাইল

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

ব্যাংক

কৃষক খুঁজে ঋণ দিচ্ছে কৃষি ব্যাংক : চেয়ারম্যন মোহাম্মদ ইসমাইল

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৫ ডিসেম্বর ২০২০

কৃষিঋণ বিতরণের পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিময় ব্যবসা, বাণিজ্যিক ও কৃষিভিত্তিক শিল্প বা প্রকল্প কিংবা দারিদ্র্য বিমোচনের মতো কর্মসূচিতে সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে সরকারি মালিকানায় পরিচালিত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি)। করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবে সৃষ্ট সঙ্কটেও পিছিয়ে নেই আমাদের কার্যক্রম। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্যাংকটি। নতুন নতুন কৃষককে খুঁজে বের করে ৪ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ সুদে তাঁদের ঋণসুবিধা দিচ্ছে। এর মাধ্যমে হাসি ফুটছে লাখো কৃষকের মুখে। এছাড়া এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে ব্যাংকটি। সর্বদিক থেকে ভালো অবস্থানে ব্যাংকটি। ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ কমে নেমে এসেছে ১১ শতাংশে এসেছে।

সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যন মোহাম্মদ ইসমাইল।

তিনি বলেন, সরকারের ঘোষিত প্রণোদনার প্যাকেজের মাধ্যমে কৃষি ব্যাংক কৃষিখাতে এক হাজার ১৯৯ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। এছাড়া আরো নতুন করে ৫’শ কোটি টাকা দিয়েছে। এর মধ্যে ৩০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। বাকি ঋণ সময়ের আগে দেওয়া শেষ হয়ে যাবে আশা করি। এছাড়া মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৩’শ কোটি টাকা ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে ৭ শতাংশ সুদে ঋণের কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে ২৫১ কোটি ঋণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতি বছর ঋণ দেয়ার একটি লক্ষমাত্রা থাকে। এবার সেই লক্ষমাত্র রয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এই ঋণ অর্থবছরের মধ্যে দেয়ার চেষ্টা করবো আমরা। এছাড়া গত অর্থ বছরের খেলাপি ঋণ ছিলো ১৭ শতাংশ তা কমে এখন ১১ শতাংশে নেমে এসেছে।

চেয়ারম্যন মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, প্রতিষ্ঠানটির আওতাধীন কৃষকের ১০ টাকার ৪১ লাখ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সরকারের নিয়মিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করছে। করোনাভাইরাস সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবেলায় কৃষি ব্যাংকের ২৫ সদস্য বিশিষ্ট বিশেষ কমিটি বর্তমানে কাজ করে যাচ্ছে। সাধারণ ছুটির মধ্যেও ব্যাংকটির মোট ১০৩৮টি শাখাই সেবা দিয়ে যাচ্ছে। শাখাগুলোতে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। বড় শাখাগুলোতে দেওয়া হয়েছে থার্মাল স্ক্যানার। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রাহক সেবাও নিশ্চিত করছে ব্যাংকটি।

তিনি আরো বলেন, কৃষি খাতে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এশিয়ার গণ্ডি পার করে বিশ্বে সবজি উৎপাদনে জনবহুল বাংলাদেশ এখন তৃতীয় অবস্থানে। কেবল সবজি-ই নয় ধান উৎপাদনেও বিশ্বে আয়তনের দিক থেকে অনেক পেছনে থাকা বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ, আমে সপ্তম ও আলুতে অষ্টম। নানামুখী উদ্যোগের ফলে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে কৃষি খাত। বিশ্ব পরিমণ্ডলে যা উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে জ্বলছে। সরকার আমাদেরকে যেভাবে নির্দশনা দিয়েছে সেভাবেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে আমাদের ব্যাংকটি। জনগণের কল্যাণে সরকারের কৃষি ও সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক প্রায় সব কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি ব্যাংক। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই দায়িত্ব পালন করছে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

চেয়ারম্যন মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, কৃষি ব্যাংকের অনলাইন ব্যবস্থাও বর্তমানে অনেক শক্তিশালী। গ্রাহক চাইলে যে কোনো শাখা থেকে টাকা জমা দেওয়া কিংবা টাকা তুলতে পারছে। ১০৩৮টি শাখার মধ্যে প্রায় ৪২১টি অন-লাইন এবং ৪৬১টি অটোমেটেড শাখার মাধ্যমে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও ময়মনসিংহ শহরে ছয়টি এটিএম বুথের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। ব্যাংকের নিজস্ব এটিএম বুথ ছাড়াও যে কোনো ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলনের সুবিধা রয়েছে। শিগগিরই ‘বাংলা-ক্যাশ’’ নামে কৃষি ব্যাংকের নিজস্ব মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads