• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
স্টেমসেলের গবেষণা শুরু হয়েছিল ভারতে

স্টেমসেলের গবেষণা শুরু হয়েছিল ভারতে

ছবি : ইন্টারনেট

জীব বিজ্ঞান

বিজ্ঞানীদের দাবি

স্টেমসেলের গবেষণা শুরু হয়েছিল ভারতে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৯ জানুয়ারি ২০১৯

প্রাচীন ভারতেই স্টেমসেল, টেস্টটিউব বেবির প্রযুক্তির মূল গবেষণা শুরু হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, কয়েক হাজার বছর আগেই ভারতে স্টেমসেলসহ বিমান, টেস্টটিউব বেবির প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বার্ষিক বিজ্ঞান সম্মেলন উদ্বোধন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই এসব দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। সম্মেলনে বিজ্ঞানের চর্চা কম করে হিন্দুধর্মীয় মহাকাব্য রামায়ণ ও পুরাণ নিয়ে আলোচনাই বেশি করেন বিজ্ঞানীরা।

দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অজৈব রসায়নের অধ্যাপক জি নাগেশ্বর রাও দাবি করেন, ভারতে কয়েক হাজার বছর আগেই স্টেমসেলের গবেষণা ছিল। সেই সময় তিনি মহাভারত থেকে গান্ধারীর গর্ভপাত করা মাংসপিণ্ড ১০০ কলসিতে রেখে শতপুত্রের জন্ম প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গর্ভপাত থেকে আসা মাংসপিণ্ড থেকে সন্তান জন্মদান স্টেমসেল গবেষণারই উদাহরণ। একই সঙ্গে কলসিতে রাখার ঘটনাকে তিনি টেস্টটিউবের সঙ্গে তুলনা করেন।

এই অধ্যাপক আরো বলেন, বর্তমান সময়ে ব্যবহূত হওয়া প্রযুক্তির প্রায় সবই মহাভারত ও রামায়ণে উল্লেখ রয়েছে। যেমন- রাক্ষস রাজা রাবণের প্রায় ২৪টি বিমান ছিল, এমনকি শ্রীলংকায় তার বিমান অবতরণ প্রযুক্তি ও নেটওয়ার্ক স্থাপিত ছিল। তিনি বিষ্ণু চক্রকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির সঙ্গে তুলনা করেন।

ইন্ডিয়ান সায়েন্টিফিক কংগ্রেস অ্যাসোসিয়েশন বিজ্ঞানীদের এসব দাবিকে হাস্যকর ও উদ্বেগজনক বলে দাবি করে। সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক প্রেমেন্দু পি মাথুর বলেন, তাদের বক্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে এ ধরনের মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য।

অনেকেই বিজ্ঞানীদের এসব বক্তব্যকে রাজনৈতিক প্রভাবযুক্ত বলেও মনে করছেন। গত বছর ভারতের শিক্ষা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সত্যপাল সিং ইঞ্জিনিয়ারদের এক আয়োজনে রামায়ণে বিমানের ব্যবহার রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন।

এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, প্রাচীন ভারতেই প্লাস্টিক সার্জারির প্রযুক্তি চালু ছিল। গণেশের মাথা হাতির আর দেহ মানুষের, এটিকে তিনি প্লাস্টিক সার্জারি প্রযুক্তির উদাহরণ বলে তুলে ধরেন। বিজ্ঞানীরাও প্রধানমন্ত্রীর পথ ধরেই হাঁটছেন বলে এসব বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads