• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
সুখী মাধুরী

ছবি : সংগৃহীত

বলিউড

সুখী মাধুরী

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৬ জুন ২০১৯

বলিউডের মিষ্টি হাসির নায়িকা মাধুরী দীক্ষিত। আশির দশকের শেষে, নব্বই দশকের প্রায় পুরোটাই মাধুরী-জ্বরে আক্রান্ত ছিল বলিউড। সব নায়কই চাইতেন তার সঙ্গে অভিনয় করতে, সাংবাদিকরা চাইতেন তাকে নিয়ে সংবাদ ছাপতে, দর্শক চাইতেন তাকে পর্দায় দেখতে। আজো মাধুরীর সেই ক্রেজ বিদ্যমান। সেই মাধুরী দীক্ষিত এখন ইতালিতে। স্বামী-সন্তানদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করে সময় পার করছেন তিনি।

স্বামী শ্রীরাম মাধব নিনি ও দুই ছেলে আরিন আর রায়ানের সঙ্গে ইতালিতে মাধুরীর সুন্দরতম অধ্যায় পার হচ্ছে। সেখান থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ভঙ্গিমার ছবি পোস্ট করছেন তিনি। ছবির ক্যাপশনে মাধুরী লিখেছেন, ছেলেদের স্কুলে গরমের ছুটি চলছে। এখন তো একটু বেড়াতে যাওয়াই যায়। তবে শুধু ঘোরাঘুরি নয়, রান্নাও শিখছেন তারা। কাঠ জ্বালিয়ে কীভাবে পিজ্জা বানানো যায়, সে কৌশল রপ্ত করছেন।

মাধুরী তার নাচ দিয়ে বলিউডে গেঁথে আছেন। তার অভিনীত প্রতিটি ছবিতে ভক্তরা তার নাচ দেখার জন্য মুখ উঁচিয়ে থাকেন। জনপ্রিয় টেলিভিশন ডান্স দিওয়ানে রিয়েলিটি শোয়ের দ্বিতীয় পর্যায়ে বিচারক হিসেবেও তাকে দেখা যাবে।

শৈশব থেকেই মাধুরী নাচের প্রতি আগ্রহী। তিন বছর বয়স থেকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি কত্থক নাচে দক্ষতা অর্জন করেন। পণ্ডিত বিরজু মহারাজ মাধুরীকে বলিউডের সেরা নাচিয়ে অভিনেত্রীতে পরিণত করতে সহযোগিতা করেন। অভিনয়ে মাধুরীর চলার শুরু হয়েছিল ১৯৮৪ সালে, ছবির নাম ‘অবোধ’, বিপরীতে ছিলেন তাপস পাল। ছবিটি ফ্লপ হয়। এরপর একে একে সাথী, হিফাজত, দয়াবান, খাতরো কি খিলাড়ি ছবিগুলো ফ্লপ হয়। ১৯৮৮ সালে একক নায়িকা হিসেবে ‘তেজাব’ ছবিটি খ্যাতি এনে দেয়। এ ছবির ‘এক দো তিন...’ গানটিই মূলত মাধুরীকে দর্শকের হূদয়ে ঠাঁই পাইয়ে দেয়। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে আছে রাম-লক্ষ্মণ, পরিন্দা, ত্রিদেব, কিশেন কানাইয়া, প্রহর।

মাধুরী দীক্ষিত একমাত্র অভিনেত্রী যিনি ১৪ বার ফিল্মফেয়ার মনোনয়ন পেয়েছেন। যার মধ্যে চারবার তিনি পেয়েছেন সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। দুবার অন্য ক্যাটাগরিতে। শোনা যায় ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ ছবির জন্য ২.৭ কোটি রুপির চেক পেয়েছিলেন মাধুরী। সহশিল্পী সালমান খানের চেয়েও ছিল যা ঢের বেশি। ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী। মাধুরী দীক্ষিত ২০০৮ সালে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘পদ্মশ্রী’ পেয়েছিলেন। ২০১৩ সালে মাধুরী গড়ে তোলেন ভার্চুয়াল ডান্স একাডেমি, ‘ড্যান্স উইথ মাধুরী’। এখানে তিনি নাচের ভিডিও আপলোড করেন, যা দেখে যে কেউ নাচ শিখতে পারবে নির্দিষ্ট নিয়মাবলি অনুসরণ করে।

২০১৪ সাল থেকে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে শিশু ও নারীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করেছেন মাধুরী। তিনি ভারত সরকারের নারীদের অধিকারবিষয়ক ক্যাম্পেইনেরও শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়াও এশিয়ার বিপন্ন প্রাণীদের রক্ষায় নিযুক্ত চ্যারিটিতে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আছেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads