• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

বলিউড

‘এখনকার শিল্পীরা অনেক সাহসী’

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৪ নভেম্বর ২০১৯

এখনকার তারকারা নিজেদের লুক নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে একটুও সংকোচ বোধ করেন না। কিন্তু আগে এমন ছিল না বলে জানান জুহি চাওলা। সিনেমায় সব সময়ই সুন্দর দেখাক, তার সময়ের অন্য তারকাদের মতো তিনিও এমনটাই চাইতেন।

জুহি চাওলার মতে, এখনকার তারকাদের অভিনয় অনেক বেশি বাস্তব মনে হয়। আগে নারীরা নিজেদের চেহারা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালাতে সংকোচ করতেন। আলিয়া ভাটের ‘উড়তা পাঞ্জাব’ ও ‘রাজি’ এবং আনুশকার ‘সুঁইধাগা’র উদাহরণ টেনে জুহি বলেন, এখনকার শিল্পীরা অনেক সাহসী। জুহি বলেন, ‘আগে আমরা নায়িকা, আদর্শ নারী, কন্যা, জীবনসঙ্গীর চরিত্রে অভিনয় করতাম। কিন্তু এখনকার শিল্পীদের দেখি সাহসের সঙ্গে জটিল চরিত্র বেছে নিতে।’

জুহি আরো বলেন, ‘সব সিনেমাতেই সুন্দর লাগুক এবং সিনেমার চরিত্রটি মানুষ পছন্দ করুন, এমনটাই চাইতাম।’

তিন দশকের ক্যারিয়ারে অনেক চড়াই-উতরাই পার করেছেন জুহি চাওলা। জুহি বলেন, ‘সিনেমা ব্যবসা না করলে মনে হতো মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। বাসায় বসে কাঁদতাম। কিন্তু আসলে তো আকাশ ভেঙে পড়ত না। আরেকটি দিন শুরু হতো এবং আবার কাজে ফিরতাম। পরের ছবি ভালো করব সেই আশা করা শুরু করতাম।’

জুহি চাওলা দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলা, পাঞ্জাবি, মালয়ালাম, তামিল এবং তেলেগু ভাষার ছায়াছবি ছাড়াও চাওলা প্রধানত হিন্দি ভাষা চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তার কমেডিক টাইমিং এবং চিত্তাকর্ষক অন-স্ক্রিন ব্যক্তিত্বের জন্য তিনি বিশেষভাবে প্রশংসা লাভ করেছেন।

সুলতানাত (১৯৮৬) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম অভিষেক করেন চাওলা। ১৯৮৮ সালে রোমান্স চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তাক’ ছবিতে অভিনয় করে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি বছরের সেরা লাক্স নিউ ফেসের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। অত্যন্ত জনপ্রিয় পারিবারিক ড্রামার চলচ্চিত্র যেমন স্বরগ (১৯৯০), থ্রিলার ধরনের প্রতিবাদ (১৯৯০), রোমান্টিক চলচ্চিত্র বোল রাধা বোল (১৯৯২) এবং রোমান্টিক কমেডি রাজু বান গেয়া জেন্টলম্যান (১৯৯২) প্রভৃতির মাধ্যমে তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রের শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন।

এরপর তিনি ধারাবাহিকভাবে শীর্ষস্থানীয় চলচ্চিত্রগুলোতে অভিনয় করেন, যেমন অ্যাকশন থ্রিলার লুটেরেতে (১৯৯৩) মদের বারের নর্তকী হিসাবে, নিজের প্রেম বিসর্জনকারী নারী হিসাবে আশিনা (১৯৯৩) চলচ্চিত্রে, একজন দক্ষিণ ভারতীয় হিসাবে রোমান্টিক কমেডি হাম হে রহি পেয়ার কে (১৯৯৩), যার জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন এবং রোমান্টিক থ্রিলার চলচ্চিত্র ডরতে (১৯৯৩)ত একজন ক্ষতিগ্রস্ত নারী হিসেবে। এছাড়া তিনি বক্স অফিসের সফলতা অর্জনকারী চলচ্চিত্র যেমন সাজান কে ঘাড় (১৯৯৪), নাওজায়াজ (১৯৯৫), রাম জানে (১৯৯৫), লোফার (১৯৯৬), মি এবং মিসেস খিলাড়ী (১৯৯৭), দেওয়ানা মাস্তানা (১৯৯৭), ইয়েস বস (১৯৯৭), ইশক (১৯৯৭) এবং অর্জুন পণ্ডিত (১৯৯৯)-এর মতো চলচ্চিত্রে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছেন।। ২১ শতকে, চাওলা আর্ট হাউজ প্রকল্পগুলোতে স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ শুরু করেন, ঝঙ্কার বিটস (২০০৩), ৩ দিওয়ারিন (২০০৩), মাই ব্রাদার নিখিল (২০০৫), বাস এক পাল (২০০৬), আই এম (২০১১), গুলাব গ্যাং (২০১৪) এবং চক এন ডাস্টার (২০১৬) ছবিতে অভিনয় করে আলোচিত হন।

চলচ্চিত্রে অভিনয় ছাড়াও চাওলা নৃত্যে রিয়েলিটি শো ঝালক দিখালা যাক-এর তৃতীয় পর্বের একজন প্রতিভাবান বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের স্টেজ শো এবং কনসার্ট ট্যুরে অংশগ্রহণ করেছেন এবং বিভিন্ন দাতব্য ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। চাওলা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট দলের কলকাতা নাইট রাইডার্সের সহ-মালিক। ১৯৯৫ সালে তিনি শিল্পপতি জে মেহতাকে বিয়ে করেন এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads