• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

বলিউড

‘সাইনা নেওয়াল’ পরিণীতি চোপড়া

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯

ভারতীয় অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া খুব অল্প সময়েই বেশ আলোচনায় এসেছেন। কিছুদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে পরিণীতি চোপড়ার কিছু ছবি। তাতে দেখা যাচ্ছে, ব্যাডমিন্টন কোর্টে দারুণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি।

রুপালি পর্দা ছেড়ে মাঠেই থিতু হবেন কিনা- এমনটি ভাবার অবকাশ নেই। চরিত্রের প্রয়োজনেই তাকে কঠোর অনুশীলনে সময় দিতে হচ্ছে। চরিত্রটি যখন ভারতের জাতীয় আইকনদের অন্যতম একজন সাইনা নেওয়ালের, তখন তো একটু ঘাম ঝরাতে হবেই। ২০২০ সালের বায়োপিকের ঝড়ে সাইনার বায়োপিকও আছে- যেটিতে অভিনয় করছেন ‘হাসি তো ফাসি’তারকা পরিণীতি। অভিনয়ের সুনাম তো তার আছেই। এখন তার পরিশ্রমের গল্পও ফিরছে সবার মুখে মুখে। এই সিনেমাটির জন্য প্রথম পছন্দে অবশ্য ছিলেন শ্রদ্ধা কাপুর। শ্রদ্ধার অন্য ছবির ব্যস্ততা ব্যাডমিন্টন কোর্টে টেনে আনে পরিণীতিকে।

আপাতত সেটা নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটছে তার। সাইনা নেওয়ালের জীবনীমূলক ছবির জন্য পরিণীতি চোপড়া প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ৮টা অবধি ব্যাডমিন্টন ট্রেনিং নিয়েছেন কোচ ইশান নকভির কাছে। যিনি এই ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয়ও করছেন। ওদিকে প্রথম যখন এই বায়োপিকের আলোচনা হয়, তখন সাইনা আলাপে বলেছিলেন, তার পছন্দ দীপিকা পাড়ুকোনকে নিজের চরিত্রে দেখার জন্য। কিন্তু পরিণীতি তাকে হতাশ করেননি। তার প্রমাণ নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা পরিণীতির ছবি। মধ্যে এই অভিনেত্রী ব্যাডমিন্টন তারকা সাইনা নেওয়ালের বাড়িতে সারাদিন কাটান। সাইনার সঙ্গেই থাকবেন। তার সঙ্গে গল্প করবেন। সাইনা যা করেন তা-ই করছেন তিনি। পরিণীতি সাইনার মায়ের কাছে আবদার করেন সাইনাকে যা খাওয়ান, তা তাকেও খাওয়াতে হবে। আর তাতে সাইনার মা রাজিও হয়েছিলেন। সাইনা যেমন জামাকাপড় পরে ঘোরেন বাড়িতে, সেসব পোশাকই পরিণীতি পড়ার অভ্যাস করেন। চরিত্রের সঙ্গে একাত্ম হতেই পরিণীতির এমন আজব আবদার।

পরিণীতি চোপড়া হরিয়ানার আমবালায় একটি পাঞ্জাব পরিবারে ১৯৮৮ সালের ২২ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। ২০১১ সালে ‘লেডিস ভার্সেস রিকি বেহেল’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন। শুরুতে একজন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার হতে চেয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। তবে ম্যানচেস্টার বিজনেস স্কুল থেকে ব্যবসা, ফিন্যান্স এবং অর্থনীতিতে তিনটি স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পর ২০০৯ সালে ভারতে চলে আসেন। ভারতে এসে যশরাজ ফিল্মসে ‘জনসংযোগ পরামর্শক’ হিসেবে কাজ শুরু করেন। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থাতেই চলচ্চিত্র পরিচালক মনীশ শর্মার নজরে আসেন। পরবর্তী সময়ে অডিশনের মাধ্যমে তিনি এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অভিনেত্রী হিসেবে তিনটি চলচ্চিত্রে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে বলিউডে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। তবে এই ছোট ক্যারিয়ারে যতগুলো ছবি করেছেন, সবগুলোতে অভিনয় করা কিংবা চরিত্র বাছাই করা সঠিক ছিল না বলে মনে করেন এই অভিনেত্রী।

পরিণীতি চোপড়া বলেন, ‘কোনো কোনো ছবি ভুল বেছেছি। কিন্তু এমন কোনো ছবি নেই যেটায় কাজ করার আগে মনে হয়েছে, এটা চলবে না। প্রতিটি ছবি নিয়ে আমি পজিটিভ থাকি। কোনোটা চলে, কোনোটা চলে না। প্রথম তিন বছর আমার প্রতিটি ছবি হিট হয়েছিল। আমি কিন্তু তখন যেভাবে ছবি বাছতাম, আজো সেভাবেই করি। কখনো কখনো ভাগ্য সহায় হয় না। যে কোনো সৃজনশীল কাজেই সাফল্য-ব্যর্থতা থাকে, তা-ই বলে আমি কী পেলাম আর কী পেলাম না ভেবে সময় নষ্ট করে লাভ নেই। আমার ক্যারিয়ার গ্রাফটা প্রথমে উঁচুতে ছিল, তারপর নেমে গেল, এখন আবার ধীরে ধীরে উঠছে।’

ছবি পরপর ফ্লপ হলে চাপ অনুভব করেন কি-না, এ প্রশ্নের উত্তরে সাংবাদিকদের অনেকটাই দুষলেন তিনি। বললেন, চাপ তো আপনারাই তৈরি করেন! সবকিছু নিয়ে সমানে প্রশ্ন করে যান। এটা স্বাস্থ্যকর নয়। একসময় অক্ষয় কুমারের পরপর ছয়টি ছবি ফ্লপ হয়েছিল, আমার দিদি প্রিয়াঙ্কারও তা-ই। কারো কারো তো দশ-এগারোটা ছবি পরপর ফ্লপ করে। সেটা নিয়ে এত মাতামাতি করার তো কিছু হয়নি। আমি কোনো কিছু নিয়ে আফসোস করি না। আমার এত সময় নেই। হিটস অ্যান্ড ফ্লপস আর অল পার্ট অব দ্য গেম। যখন ‘গোলমাল’ সই করেছিলাম, তখন আপনারা প্রশ্ন করেছিলেন, মাল্টিস্টারার ছবিতে কেন কাজ করছি। অথচ আজকের তারিখে ওটাই আমার সবচেয়ে বড় হিট!

তিনি আরো বলেন, ‘ছবি ফ্লপ হলে কখনো প্রযোজকের সঙ্গে বা সহ-অভিনেতার সঙ্গে বসে আলোচনা করি। কখনো একা বসে চিন্তা করি। ছবিটা কেন চলল না? কী কী ভুল করেছি? তবে প্রযোজকরা কিন্তু হিট বা ফ্লপের সংখ্যা দেখে অভিনেতা বাছেন না। দর্শক যাদের ভালোবাসে, তাদেরই সুযোগ দেওয়া হয়।’

আত্মবিশ্বাসী পরিণীতি চোপড়া বলেন, ‘যে মুহূর্তে আমি নিজের ওপর বিশ্বাস হারাবো, সে মুহূর্তে অজস্র দর্শক আমার ওপর বিশ্বাস হারাবেন। আসলে দর্শকরা আপনাদের মতো করে ভাবেন না। তারা খুবই সিম্পল। এখনো আমাকে কেউ কেউ বলেন, তারা ‘মেরি পেয়ারি বিন্দু’ রোজ দেখেন। তারা এটা ভাবেন না যে, দুবছর আগে আমার ছবি নির্বাচনে ভুল ছিল কি-না বা এখন আমি কী কী ভুল করছি। এভাবে শুধু মিডিয়া চিন্তা করে, কারণ আপনারা ফিল্ম স্টারদের সঙ্গে দিনের অনেকটা সময় কাটান আর এটা আপনাদের কাজ।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads