• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

ছবি: সংগৃহীত

বাজেট

প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান

রফতানিকারকের সমান সুবিধার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ এপ্রিল ২০১৮

সব ধরনের পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে রফতানিকারকদের সমান সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি আগামী বাজেটে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের মোট রফতানির ৮৩ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। কিন্তু শুধু তৈরি পোশাক খাতকেই নয়, অন্যান্য খাতকেও সুযোগ দিতে হবে। রফতানি যাতে বাড়ে সে জন্য আমাদের যথেষ্ট প্রণোদনা দিতে হবে। গতকাল এনবিআর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যানর এসব কথা বলেন। আলোচনায় বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএসহ কয়েকটি বাণিজ্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করতে যাচ্ছি। এ জন্য আমাদের রফতানি বাড়াতে হবে। রফতানি না বাড়াতে পারলে আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে সাসটেইন করতে পারব না।

তিনি আরো বলেন, আমাদের বাজেটের আকার বাড়ছে। রাজস্ব আয় বাড়ানোর দিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য করের আওতা বাড়ানোর জন্য অনেকেই বলেছেন। এখনো অনেক ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা ভ্যাট ও করের আওতার বাইরে রয়েছেন। তাদেরকে কীভাবে করের আওতায় আনা যায়, আমরা সেটি বিবেচনা করছি।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন- ব্যবসা, বিনিয়োগ, শিল্পায়ন হলে রাজস্ব আয় বাড়বে। সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করার জন্য যে সহযোগিতার দরকার বাজেটে তা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বিজেএমইএ সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, যারাই রফতানি করছে তাদের সবার সমান সুবিধা থাকা উচিত। রফতানির পরিমাণ কম বা বেশির ওপর নির্ভর করে সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করা উচিত নয়। আগামী বাজেটের জন্য রফতানিকারকদের করপোরেট করহার ১০ শতাংশ নির্ধারণ, উৎসে কর মওকুফ ও সব ধরনের ভ্যাট থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানান।

উৎসে কর মওকুফের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, উৎসে কর থেকে সরকারের আয় ২ হাজার কোটি টাকার বেশি নয়। যেখানে ৪ লাখ কোটি টাকার বাজেট হয়, সেখানে ২ হাজার কোটি টাকা খুব বেশি নয়। তৈরি পোশাক খাতে যে পরিমাণ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে উৎসে কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। এটি প্রত্যাহারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করার জন্যও তিনি এনবিআর চেয়ারম্যানের প্রতি অনুরোধ জানান।

ব্যবসায়ীরা যাতে যন্ত্রণামুক্ত ব্যবসা করতে পারেন সেজন্য এনবিআর চেয়ারম্যানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নানাভাবে ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। যখন-তখন এনবিআরের কর্মকর্তারা নানা ধরনের ডকুমেন্ট চান। কিন্তু সেসব ডকুমেন্ট দেওয়া অনেক সময় খুবই কঠিন। আমরা ৩০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করি। এসব রফতানির ডকুমেন্ট ৫ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা খুবই কঠিন।

বিটিএমইএ পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, কারখানার জন্য আমাদের প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি করতে হয়। এসব যন্ত্রাংশ আমদানির জন্য অগ্রিম ঘোষণা দিতে হয় এবং শুল্ক মূল্যায়ন নিরীক্ষার জন্য নানা ধরনের হয়রানির মুখে পড়তে হয়। অনেক সময় কারখানা বন্ধ করে মেশিনের ভেতরে সংযোজিত যন্ত্রাংশ দেখাতে হয় এনবিআর কর্মকর্তাদের। এ ধরনের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে এসআরও ১৩৭ প্রত্যাহারের জন্য দাবি জানান।

জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানির বিষয়ে এত কঠোর হওয়ার কিছু নেই। বিষয়টি সহজ করে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads