• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী

ছবি - পিআইডি

বাজেট

প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী

টাকা পাচারের যত কথা হয় পাচার ততটা  হয় না

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১০ মে ২০১৮

টাকা পাচার নিয়ে আমাদের দেশে যতটা কথাবার্তা হয় আসলে ততটা টাকা পাচার হয় না বলে মনে করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, এক সময় টাকা পাচার হতো যখন মালয়েশিয়া সেকেন্ড হোম হিসেবে গড়ে উঠেছিল। এখন মালয়েশিয়া টাকা পাচারের বিরুদ্ধে সহায়তা করছে। দুবাইয়েও কিছু টাকা পাচার হতো। তবে দুবাইও এ বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। এসব কারণে টাকা পাচারের কথা যতটা বলা হয় বর্তমানে এটা আসলে ততটা নয়।

গতকাল ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, ইআরএফের সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল, অর্থ সচিব মুসলিম চৌধুরী, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম, ইআরএফের সাবেক সভাপতি মনোয়ার হোসেন, জাকারিয়া কাজলসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কালো টাকা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, কালো টাকা বিষয়ে আমাদের দেশে অনেক আগেই আইন আছে। আইন অনুযায়ী অপ্রদর্শিত কালো টাকা বেশি জরিমানা দিয়ে বৈধ করা যায়। অনেক সময় দেখা যায়, কারো কাছে অপ্রদর্শিত অর্থ যদি সরকারের কোষাগারে আসে তাহলে ভালো।

প্রাক-বাজেট আলোচনায় চিনি শিল্প প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, দুনিয়ায় চিনি যত টাকায় পাওয়া যায় আমরা তার চেয়ে তিন-চারগুণ বেশি দামে কিনি। এটা করতে হয় শুধু দেশের ১০ অথবা ১১টা চিনিকলের জন্য। এই শিল্পকে ট্যারিফ সহায়তা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। অথচ বিদেশ থেকে আমদানি করলে আমরা তা কম দামে পেতে পারি। কাজেই আমার মতে, চিনি শিল্প রাখা উচিত নয়।

শিক্ষা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকে আমাদের দক্ষ শিক্ষক রয়েছেন। উচ্চ শিক্ষার অবস্থাও ভালো। তবে মাধ্যমিকে দুরবস্থা চলছে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করা হয়েছে। আগামীতে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে। আগামী বাজেটে স্কুলবাস নামানোর বিষয়ে ঘোষণা থাকবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, কিছু নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত (মান্থলি প্রেমেন্ট অর্ডার) করতে বরাদ্দ থাকবে। এমপিও শুধু শিক্ষকদের সুযোগা-সুবিধা বৃদ্ধির জন্যই হবে না। স্কুলের অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ের জন্য এমপিও থাকবে।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, এমপিও সংস্কারের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় খুব বেশি আগ্রহী বলে আমার কাছে মনে হয় না। তারা সেভাবে সহযোগিতা করছে না।

আগামী বাজেটে মানবসম্পদ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্যানিটেশনের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, আগামী বাজেটে সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে মানবসম্পদ উন্নয়ন। তবে বেশি অর্থ ছাড় হবে পরিবহন ও জ্বালানি খাতে।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে  দেশে করপোরেট কর খুব বেশি। আগামী বাজেটে এটা কিছুটা কমানো হবে। তবে করের পরিধি বাড়বে। আমরা আশা করছি, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের ৫০-৬০ শতাংশ লোক কর দেবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, একটা বড় অংশ দারিদ্র্যের হাত থেকে উত্তীর্ণ হয়েছে। কিছু প্রতিবন্ধীসহ কিছু হতদরিদ্র সব দেশেই থাকে। আমরা ২০২৪ সালে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হব। দেশে অর্থনৈতিক উন্নতির এ অবস্থায় আমি যে কোনো মুহূর্তে তৃপ্তির সঙ্গে অবসর নিতে প্রস্তুত।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads