বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি আগামী অর্থবছরের (২০১৮-১৯) জন্য ১২ লাখ কোটি টাকার একটি বাজেটের পরিকল্পনা করেছে, যা বর্তমান অর্থবছরের বাজেটের তিন গুণ।
বিশাল এই বাজেটের পরিকল্পনা দিয়ে অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাত বলেছেন, ‘আমাদের প্রস্তাবিত বাজেট যুক্তিসঙ্গত এবং দেশের অন্তর্নিহিত শক্তির বিচারে যৌক্তিক। বাজেটের ৪৪ শতাংশ অর্থ সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্ব থেকে পাওয়া যাবে বলে তার বিশ্বাস। কোনো ধরনের বৈদেশিক ঋণ ছাড়াই এ বাজেট বাস্তবায়নের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন তিনি।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিকল্প এ বাজেট উপস্থাপন করে অর্থনীতি সমিতি। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক বারকাত।
যদিও চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ৪ লাখ কোটি টাকার বাজেটকেও অনেকেই উচ্চাভিলাষী বলে অভিহিত করেছেন। আগামী ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত যে বাজেট দিতে যাচ্ছেন, তা ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাড়াবে বলে আভাস দিয়েছেন তিনি।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। যা আদায় করাও চ্যালেঞ্জ মনে করছিলেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।
ড. আবুল বারকাত বলেন, প্রস্তাবিত ১২ লাখ ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বিকল্প বাজেটের অনুন্নয়ন খাতে ব্যয় হবে ৫ লাখ ১৪ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন খাতে যাবে ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব আয় থেকে আসবে ৯ লাখ ৯০ হাজার ৮২০ কোটি টাকা।
অর্থনীতি সমিতি প্রস্তাবিত বাজেটের ১৯ শতাংশ বা ২ লাখ ২৫ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার ঘাটতির ১ লাখ কোটি টাকা বা ৪৪ শতাংশ অর্থ সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্ব থেকে আনার পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।
তারা বলছেন, বন্ড বাজার থেকে আসবে ঘাটতি বাজেটের ২১ শতাংশ বা ৪৫ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ৬০ হাজার কোটি টাকা বা ২৭ শতাংশ এবং দেশীয় ব্যাংক ঋণ থেকে নেওয়া হবে ৯ শতাংশ বা ২০ হাজার কোটি টাকা।