• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
উৎসবমুখর সংসদে বাজেট উপস্থাপন

টানা দশম বারের মতো বাজেট উপস্থাপনের কৃতিত্বও অন্য কোনো দলের নেই

সংগৃহীত ছবি

বাজেট

উৎসবমুখর সংসদে বাজেট উপস্থাপন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৮ জুন ২০১৮

টানা দশমবারের মতো জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করে রেকর্ড গড়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। স্বাধীনতার ৪৭ বছরে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল টানা একদশক ক্ষমতায় ছিল না। টানা দশম বারের মতো বাজেট উপস্থাপনের কৃতিত্বও অন্য কোনো দলের নেই। সরকারের চলতি মেয়াদের সর্বশেষ ও দেশের ৪৭তম বাজেট পেশ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যদের উপস্থিতিতে মুখর ছিল সংসদ।

উৎসবমুখর পরিবেশে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর আগে সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন পাওয়ার পর বাজেট বিলে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বেলা পৌনে একটার দিকে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। বাজেট পেশ উপলক্ষে অধিবেশন কক্ষ ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। সংসদ গ্যালারি থেকে ভিআইপি লাউঞ্জ সর্বত্রই ছিল উপচে পড়া ভিড়।

বেলা ১২টা ৫৩ মিনিটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিজের জীবনের দ্বাদশতম বাজেট প্রস্তাবনা পড়া শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ‘সমৃদ্ধ আগামী পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে বাজেট বক্তৃতা ৪টা ২ মিনিটে শেষ হয়। বক্তৃতার মধ্যে ৩০ মিনিটের জন্য অধিবেশনের বিরতি দেওয়া হয়।

বাজেট বক্তৃতা শেষে আবার নিজ আসনে দাঁড়িয়ে অর্থমন্ত্রী সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘আমি পুরো বক্তব্যটি দাঁড়িয়ে দিতে পারিনি। রোজার মাসে অনেক নিয়মও আমি মানতে পারিনি। শুধু বয়সের কারণে এটি করতে হয়েছে। এজন্য সবার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’ এরপর সংসদে অর্থবিল উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট উপস্থাপন শেষে স্পিকার আগামী ১০ জুন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সংসদের অধিবেশন মুলতবি করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কালো সুটকেস হাতে বেলা পৌনে ১২টায় বাজেট অধিবেশনে প্রবেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বাজেট বক্তৃতার প্রথম ও দ্বিতীয় অংশ অর্থমন্ত্রী পড়ে শোনান। কিছু অংশ ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপস্থাপন করা হয়। শারীরিক কারণে অর্থমন্ত্রী দাঁড়িয়ে ও বসেই বাজেট বক্তৃতা করেন। এ সময় বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বাজেট বক্তৃতার মাঝেমধ্যে সরকারি দলের সদস্যদের সঙ্গে টেবিল চাপড়ে তারাও অর্থমন্ত্রীকে উৎসাহ জোগান। সংসদে নিজ কক্ষে বসে বাজেট উপস্থাপন প্রত্যক্ষ করেন রাষ্ট্রপতি। এর আগে রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভবনে স্বাগত জানান সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধান বিচারপতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পিএসসি চেয়ারম্যান, তিন বাহিনীপ্রধান, বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকসহ অন্যরা বাজেট বক্তৃতা প্রত্যক্ষ করেন।

এদিকে বাজেট পেশ উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় নেওয়া হয়েছিল বাড়তি নিরাপত্তা। বৈধ পাস ছাড়া আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি সংসদ ভবন এলাকায়। এমনকি দর্শক গ্যালারিতে পাস ইস্যুতেও ছিল কড়াকড়ি।

অর্থ বিল উত্থাপন : বাজেট বক্তৃতা শেষে অর্থমন্ত্রী অর্থ বিল-২০১৮ সংসদে উত্থাপন করেন। সরকারের আর্থিক প্রস্তাবগুলো কার্যকরণ এবং কতিপয় আইন সংশোধনের লক্ষ্যে বিলটি উত্থাপন করা হয়। সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিলটি আগামী ২৮ জুন পাস হবে। এর আগে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সরকার ও বিরোধীদলীয় সদস্য ৪০ ঘণ্টা আলোচনা করবেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads