• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
মাধ্যমিক শিক্ষায় আসবে ৪ হাজার কোটি টাকা

বহুজাতিক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক

সংরক্ষিত ছবি

বাজেট

বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন

মাধ্যমিক শিক্ষায় আসবে ৪ হাজার কোটি টাকা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ আগস্ট ২০১৮

মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে বহুজাতিক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক। আর অনুদান হিসেবে ১ কোটি ডলার দিচ্ছে সংস্থাটি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছে সংস্থাটি। গতকাল সোমবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম ও বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজশ্রী পাশাকার চুক্তিতে সই করেন। এ সময় ইআরডি, বিশ্বব্যাংক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ট্রান্সফর্মিং সেকেন্ডারি এডুকেশন ফর রেজাল্ট প্রোগ্রাম কর্মসূচির আওতায় মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (এসইডিপি) বাস্তবায়নে এ অর্থ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের সুফল পাবে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী। শিক্ষার মানোন্নয়নে পাঠ্যসূচির আধুনিকায়ন, শিক্ষকদের পেশাদারিত্বের মানোন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষকদের জবাবদিহিতা বাড়াতেও কর্মসূচির আওতায় কাজ করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে। তা ছাড়া শিক্ষার্থীদের শিখন প্রক্রিয়ার মূল্যায়ন এবং পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কারেও ভূমিকা রাখবে এ কর্মসূচি।

অনুষ্ঠানে রাজশ্রী পাশাকার বলেন, শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে বাংলাদেশ সম্প্রতি বলার মতো উন্নতি করেছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে ইতোমধ্যেই শিক্ষায় লিঙ্গসমতার লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। তবে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে শিক্ষার উন্নয়নে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তরুণদের দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সরকারের সপ্তম-পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় মাধ্যমিক শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষার প্রসার প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। দেশব্যাপী মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে শিশুদের স্কুলে গমন বিশেষ করে মেয়েদের স্কুলে ভর্তির হার অনেক বেড়েছে। দেশের জন্য পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হলো শিক্ষার মানোন্নয়ন। সেই সঙ্গে দরিদ্র শিশুদের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা।

বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষায় অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করা ৭০ শতাংশেরও কম শিশু মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা গ্রহণ করছে। এসএসসি পার করছে ৬০ শতাংশের কম। এর পাশাপাশি গণিত, বাংলা এবং ইংরেজি শিক্ষায় অনেক ঘাটতি রয়ে গেছে।

২০১৫ সালের তথ্যানুযায়ী অষ্টম শ্রেণির অর্ধেক শিক্ষার্থী অঙ্কে খুবই দুর্বল। তাছাড়া আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী শিক্ষায় সরকারি ব্যয়ও অনেক কম। এ কর্মসূচির মাধ্যমে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মেয়েদের কিশোরী স্বাস্থ্যসেবার বিষয়েও শিক্ষা দেওয়া হবে। এ ছাড়া মেয়েদের জন্য ভিন্ন টয়লেট নির্মাণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে। তুলনামূলক নমনীয় শর্তে ঋণদানে সহায়ক প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) তহবিল থেকে বিনা সুদে এ ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। ঋণের রেয়াতকাল ধরা হয়েছে ছয় বছর। রেয়াতকাল পরবর্তী সময়ে উত্তোলন করা অর্থের জন্য শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সেবামূল্য পরিশোধ করতে হবে। ঋণ পরিশোধে মোট ৩৮ বছর সময় পাবে সরকার।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads