• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব আজ

ছবি : সংগৃহীত

বাজেট

৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব আজ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৩ জুন ২০১৯

একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট আজ পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি দেশের ৪৮তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২০তম এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট। বরাবরের মতো এবারও বাড়ছে বাজেটের আকার। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা। যা ১৯৭২ সালের প্রথম বাজেটের তুলনায় প্রায় ৬৬৫ গুণ বড়। অতীতের ধারাবাহিকতায় এই বাজেটেও থাকছে বড় অংকের ঘাটতি। বৈদেশিক ঋণ, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংকঋণকে ঘাটতি মেটানো অর্থের উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে।

প্রশাসনিক ব্যয় মেটানোর পাশাপাশি রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো উন্নয়নে সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের প্রথম বাজেট ছিল অনেকটাই বিদেশি অনুদান ও ঋণ নির্ভর। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন দেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ। ১৯৭৪ সালে বাজেটের আকার ছাড়ায় ১ হাজার কোটি টাকা, যা ১৯৮৮ সালে দাঁড়ায় ১০ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকায়।

২০০৩ সালে ঘোষিত ৩১তম বাজেট প্রথমবারের মতো ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের পেশ করা ওই বাজেটের আকার ছিল ৫১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। ৬ বছর পর ২০০৯-১০ অর্থ বছরে যা ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রস্তাবিত সে বাজেটের আকার ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। ২০১১ সালের ৯ জুন পেশ করা বাজেটের আকার ছিল ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। মহাজোট সরকারের গত মেয়াদের শেষ বাজেট দুই লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়, আকার ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা।

দ্বিতীয় মেয়াদের মহাজোট সরকারের প্রথম বাজেট দেয়া হয় ২০১৪ সালের ৫ জুন। যার আকার ছিল আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি । দুইবছর পরই ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের আকার দাঁড়ায়, ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮’র বাজেট ৪ লাখ কোটির মাইলকফলকে পৌঁছায় আর চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয় ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।

এবারের বাজেটের সম্ভাব্য আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে আগামী বাজেট ১২ দশমিক ৬১ শতাংশ ও সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৮ দশমিক ২২ শতাংশ বড়। আগামী ৩০ জুন এই বাজেট পাস হবে।

ভ্যাট আইন কার্যকর ও বেকারদের জন্য ঋণ তহবিল গঠনসহ বেশ কিছু নতুন বিষয় থাকতে পারে এবারের বাজেটে। ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করা হতে পারে ব্যাংকিংখাত, পুঁজিবাজার, সঞ্চয়পত্রসহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে। ঘোষণা থাকতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্তির।

দেশের জনগণের ওপর নতুন কোনও করচাপ তৈরি করতে চান না অর্থমন্ত্রী। এজন্য তিনি এবারের বাজেটে করজাল সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেবেন, যাতে করহার না বাড়িয়ে অতিরিক্ত রাজস্ব আহরণ করা যায়।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবারের বাজেটের করহারের বিষয়ে একাধিবার বলেছেন, করের হার বাড়িয়ে কোনও ধরনের করচাপ তৈরি হোক, এটা তিনি চান না। বরং করজাল সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়াতে চান।

প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আহরণের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৩ দশমিক ১ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, এনবিআর-বহির্ভূত কর ১৪ হাজার ৫০০ কোটি, কর ব্যতীত প্রাপ্তি ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি এবং বৈদেশিক অনুদানের পরিমাণ ধরা হচ্ছে ৪ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটের পরিচালন ব্যয় ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ১০ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় ধরা হচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।
আসন্ন বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। এছাড়া নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতির চাপ ৫ দশমিক ৫ শতাংশে রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads