• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
প্রস্তাবিত বাজেটে ভাতা বাড়ানো হচ্ছে যাদের

ছবি : সংগৃহীত

বাজেট

প্রস্তাবিত বাজেটে ভাতা বাড়ানো হচ্ছে যাদের

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৩ জুন ২০১৯

মুক্তিযোদ্ধা ভাতা: আগামী (২০১৯-২০) অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী মাসিক ভাতার পরিমাণ ১২ হাজার টাকা করা হচ্ছে। নতুন অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে রাখা হচ্ছে ২ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা।

বয়স্ক ভাতা: সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় বর্তমানে ৪০ লাখ মানুষ প্রতিমাসে ৫০০ টাকা হারে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন। ভাতাভোগীর সংখ্যা চার লাখ বাড়িয়ে ৪৪ লাখে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এ খাতে বরাদ্দ আছে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। নতুন বাজেটে এ খাতে ২৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হচ্ছে ২ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা।

বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা: আগামী বাজেটে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতার ভাতার পরিধি ও বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। এই কর্মসূচির আওতায় ভাতাভোগীর সংখ্যাও ১৪ লাখ থেকে ৩ লাখ বাড়িয়ে ১৭ লাখে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে রাখা হচ্ছে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা। বর্তমানে এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে ৮৪০ কোটি টাকা।

অসচ্ছ্বল প্রতিবন্ধী ভাতা: নতুন বাজেটে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা বাবদ বরাদ্দ ও ভাতাভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮৪০ কোটি টাকা। ভাতার হার প্রতিমাসে ৭০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে। আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হচ্ছে ১ হাজার ৯০ কোটি টাকা।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম: এ কার্যক্রমের আওতায় ভাতাভোগীর সংখ্যা ও বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। আগামী (২০১৯-২০) অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে রাখা হচ্ছে ৯৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রম: বর্তমানে এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫০ কোটি ৩ লাখ টাকা।আগামী ২০১৯-২০ সালে বরাদ্দ বাড়িয়ে বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় ৬৭ কোটি ১০ লাখ টাকা রাখা হচ্ছে।

হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রম: ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫ হাজার ৬৪৭ উপকারভোগীকে বিভিন্নভাবে ভাতা দিচ্ছে সরকার। এ বছর এটি বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানা গেছে
লিভার সিরোসিস, ক্যান্সার, কিডনি, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগীদের আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম: (২০১৯-২০) অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ১৫০ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৭৫ কোটি।

চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি: এ কর্মসূচীর আওতায় এর উপকারভোগী ও বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। আগামী (২০১৯-২০) অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে রাখা হচ্ছে ২৫ কোটি টাকা। সহায়তাভোগীর সংখ্যাও বাড়িয়ে ৪০ হাজারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। চলতি (২০১৮-১৯) অর্থবছরে ৪০ হাজার উপকারভোগী জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন। এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২০ কোটি টাকা।

গ্রামীণ দুস্থ মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতাভোগী কার্যেক্রম: ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৭২ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে রাখা হচ্ছে ৭৩৯ কোটি ২০ লাখ টাকা।
কর্মজীবী মায়েদের সহায়তা তহবিল: ২০১৮-১৯ এ খাতে বরাদ্দ রাখা আছে ২৪০ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ নতুন অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ২৬৪ কোটি টাকা।

 

ভাতা অপরিবর্তিত থাকছে যাদের

 

অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কার্যক্রম: ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। এ বছরও এ খাতে বরাদ্দ ও সুবিধাভোগী একই রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি: ২০১৮-১৯ অর্থবছরেএ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা। আগামী (২০১৯-২০) অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ও সুবিধাভোগী একই রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ভিজিডি কার্যক্রম তহবিল: ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে ১ হাজার ৬৮৫ কোটি ৭০ হাজার টাকা। নতুন ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত নতুন বাজেটেও এ বরাদ্দ একই থাকছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads