• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
যেসব পণ্যের দাম কমল

ছবি : সংগৃহীত

বাজেট

যেসব পণ্যের দাম কমল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ জুন ২০১৯

অর্থমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো আ হ ম মুস্তফা কামালের দেওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাটের পরিধি যেমন ব্যাপক হারে বিস্তৃত করা হয়েছে, তেমনি নিত্য ব্যবহার্য কিছু পণ্যের ভ্যাট হার কমানো ও কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।

প্রস্তাবিত বাজেটে যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে তা হলো- দেশে তৈরি ফ্রিজ, ক্যানসারের ওষুধ, দেশে তৈরি লিফট, রফতানিমুখী পোশাক, চামড়াজাত জুতা, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবা, স্বর্ণ, রড, ইলেকট্রিক মোটর, বিস্কুট ও বেকারি পণ্য, অগ্নিনির্বাপক পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জাম, রাইস কুকার, ওয়াশিং মেশিন, ব্লেন্ডার, খেলনা, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, এলইডি টেলিভিশন, প্লাস্টিক রিসাইক্লিং, কৃষি যন্ত্রপাতি, পাউরুটি ও বনরুটি, হাতে তৈরি কেক ও বিস্কুট।

‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি ক্ষমতাসীন সরকারের চলতি মেয়াদের প্রথম এবং দেশের ৪৮তম বাজেট।

চলতি অর্থবছরে মূল বাজেটের আকার দাঁড়ায় চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। তবে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে না পারা এবং উন্নয়ন প্রকল্পে পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্থ খরচ করতে না পারায় চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয় চার লাখ ৪২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী বাজেটের আকার সংশোধিত বাজেট থেকে ৮০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা বেশি।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি যতটুকু পড়তে পেরেছি বাকিটুকু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি। উনি পড়ে দেবেন।’

পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমতিক্রমে বাজেট উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি প্রথম বাজেট।

এটি দেশের ৪৮তম এবং বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। দেশের ৪৮ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট এটি।

গতকাল বেলা ৩টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। প্রস্তাবিত বাজেট পাস হবে আগামী ৩০ জুন। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads