• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ঢাবি শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ডেটা প্যাক প্রদান

ফাইল ছবি

ক্যাম্পাস

ঢাবি শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ডেটা প্যাক প্রদান

  • ঢাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ জুলাই ২০২০

কোভিড-১৯ বিপর্যয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চলমান রাখার উদ্দেশ্য চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম বাধ্যতামূলক করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ৩০-৪০ শতাংশের বেশি নয়। তাই ক্লাসে সকল শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট ডেটা প্যাক প্রদান করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট'।

গুগল ডকস ফাইল ফরমে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী ২৬ জনের প্রত্যেককে মাসিক ইন্টারনেট খরচ বাবদ ৩৫০ টাকা ও তিন শিক্ষার্থীকে স্মার্টফোন কেনার জন্য দশ হাজার টাকা করে অর্থ প্রদান করা হয় ইনস্টিটিউট থেকে।

যতদিন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাস থাকবে এবং অনলাইন ক্লাস চলবে ততদিন পর্যন্ত সাহায্যের এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা।

দৈনিক বাংলাদেশের খবর-এর সঙ্গে আলাপকালে অধ্যাপক নাসরিন সুলতানা বলেন, "করোনাভাইরাস সংকটকালের শুরু থেকে আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তখনও প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থীকে আর্থিকভাবে সহায়তা করেছি। এরপর যখন অনলাইন ক্লাস শুরু হয় তখন আমরা দেখতে পেয়েছি অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। তখন আমরা একটি গুগল ডকস ফাইলের মাধ্যমে জরিপ করেছি। আমরা এর একটি ফিডব্যাক পাই তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।"

শিক্ষার্থীদের কীভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, "আমাদের শিক্ষকদের গবেষণার ১ শতাংশ এবং মাসিক বেতনের কিছু অংশ দিয়ে আমরা একটি তহবিল গঠন করি। তারপর আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের একটি তালিকা তৈরি করি।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা প্রাথমিকভাবে ২৬ জনকে ৩৫০ টাকা করে প্রতি মাসে ইন্টারনেট বিল দেওয়া শুরু করেছি। আরও তিন জনকে মোবাইল কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছি। এ সংখ্যা বাড়বে। আমরা বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।"

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগ, অনুষদ, ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের এভাবে সহায়তার আশ্বাস দিলেও এই প্রথম স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট সেটা বাস্তবায়ন করে দেখালো। অন্য কোনো বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads