• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

ক্যাম্পাস

জবি নীল দলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন, নতুল দল গঠনের ইঙ্গিত

  • মহিউদ্দিন রিফাত, জবি
  • প্রকাশিত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নীল দলের (একাংশ) আদর্শ বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংগঠনটির কার্যনির্বাহীর সদস্য ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও শিক্ষক সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. শামছুল কবির। এসব অভিযোগ তুলে তিনি তার সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের পর নীল দলে তার মিত্র শিক্ষকদের নিয়ে আরেকটি নতুন দল গঠনের ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। নতুন করে এ দল গঠন হলে তিন ভাগে বিভক্ত হবে জবি নীল দল।

সামসুল কবির বলেন, যদি নীল দল তাদের আদর্শের জায়গায় ফিরে না আসে তাহলে নিজে থেকেই নতুন দল গঠন করার কথা ভাববো। যার মূল উদ্দেশ্য হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করা।

জানা যায়, নীল দলের (একাংশ) বিরুদ্ধে অঞ্চলপ্রীতি ও জামায়াত-বিএনপির সংশ্লিষ্টতা এনে গত ০৫ মার্চ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর ‘কার্যনির্বাহী পর্ষদ ২০১৯-২০২০’ এর কার্যনির্বাহী সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ পত্র জমা দেন ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও শিক্ষক সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. শামছুল কবির। এরপর গত মঙ্গলবার নীলদলের (একাংশ) কার্যনির্বাহী কমিটি ও অনুষদ কমিটির সভায় এবিষয়টি গৃহীত হয়।

এর আগে ২০১৭ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) নীল দলের ২০১৬-১৭ কার্যনির্বাহী পর্ষদের মেয়াদ ছিল গত ৩০ জুন পর্যন্ত। নীল দলের দু'পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ৩১ জুলাই নীল দলের নির্বাচনের দিন ধার্য করে তফসিল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনের আগে নীল দলের দু'পক্ষের মধ্যে একাধিক সভাও অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে একটি পক্ষ গঠনতন্ত্রে প্রস্তাবিত ৫ ধারার ১১ সদস্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি পদ দাবি করে। কিন্তু অন্যপক্ষ তাদের দাবিকে সমর্থন না করে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনে মতামত দেয়। সভায় দু'পক্ষের মধ্যে সমঝোতা না হলে গত ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই মাইক্রোবায়লজি বিভাগের প্রফেসর ড. জাকারিয়া মিয়া ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. নুরে আব্দুল্লাহর অনুমোদনক্রমে ২০১৭-১৮ সালের ১৯ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এ বিষয়ে ড. শামছুল বলেন, যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ২০১৭ সালে আমরা একাংশ নিয়ে নীলদল গঠন করি তা সম্পূর্ণরুপে ব্য‍তয় হয়েছে। বর্তমানে এই নীলদল আওয়ামী লীগের আদর্শ কতটুকু ধারণ করছে তা সন্দিহান। কিছু ব্যক্তি নিজের স্বার্থ ও কর্তৃত্ব হাসিল করা এবং প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নীলদল করছে। অথচ এটা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ না। আর তিনি এটা শিক্ষা দেননি।

তিনি আরো বলেন, মুখে মুখে বঙ্গবন্ধু বললে হবে না। তা কাজে কর্মে প্রমাণ থাকতে হয়। এছাড়া এই গ্রুপে অসংখ্য জামায়াত-বিএনপির শিক্ষক ঢুকে গেছে এবং তাদের নিয়মনীতি, নির্ধারনী মোতাবেক এই গ্রুপটি পরিচালিত হচ্ছে। তাই বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শিক সৈনিক হিসেবে আমি মেনে নিতে পারি নাই। ফলে এই নীলদলের কার্যনির্বাহী সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।

এবিষয়ে নীল দলের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, গত ০৫ মার্চ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর ‘কার্যনির্বাহী পর্ষদ ২০১৯-২০২০’ এর কার্যনির্বাহী সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ পত্র জমা দেন শামছুল কবির। এরপর গত মঙ্গলবার নীলদলের (একাংশ) কার্যনির্বাহী কমিটি ও অনুষদ কমিটির সভায় এবিষয়টি গৃহীত হয়।

এ বিষয়ে জবি নীলদল অন্য অংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো আইনুল ইসলাম বলেন, আমাদের গঠনতন্ত্র আছে, নির্বাচন হয়। যারা অবৈধ ভাবে দল গঠন করেছে সে অবৈধ থেকে আরেকটা বেরিয়ে গেছে। তারা অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে দল গঠন করেছে আরেকটা যদি হয় সেটাও অনিয়মতান্ত্রিক হবে।

তিনি আরো বলেন, সুবিদাবাদী বা কতৃত্ববাদীরা কখনো এক থাকতে পারে না। তারা আদর্শের চেয়েও চাওয়া পাওয়াকে গুরুত্ব দেয় বেশি এবং সেই কারণেই তাদের সাথে আমাদের মিলটা হয়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads