রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সকল প্রকার নিয়োগ বন্ধ স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নিলীমা আফরোজ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ভিসিকে নিয়োগ স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়। যদিও এর আগে এ্যাডহক নিয়োগ বন্ধ রাখতে ইউজিসির নির্দেশনা থাকলেও তোয়াক্কা না করার অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
গত বৃহস্পতিবার ইস্যু হওয়া চিঠিতে বলা হয়, (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিতকরণ ) উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনিক কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরণের নিয়োগ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি বড় অংশ চলমান নিয়োগ কার্যক্রমে দুর্নীতি হচ্ছে এমন অভিযোগ করে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধরাখার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায়। সেই প্রেক্ষিত বিবেচনায় নিয়ে এমন নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
নিয়োগ বন্ধ রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ জানানোর বিষয়টিতে নেতৃত্ব দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষক সমাজের আহবায়ক অধ্যাপক ড. সুলতান উল ইসলাম৷
অধ্যাপক সুলতান অভিযোগ করেন, নির্দেশনা ১০ ডিসেম্বর হলেও গত ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০৩ তম সিন্ডিকেটে ইংরেজি অ্যান্ড আদার্স ল্যাঙ্গুয়েজেসে ১ জন ও ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিকাল সায়েন্সেস এ ২ টি পদসহ ৩টি সেকশন অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই নির্দেশনার বিষয়ে উপাচার্য এবং প্রশাসন অবশ্যই জানে। তবে চিঠির বিষয়টি গোপন রেখে তড়িঘড়ি করে সিন্ডিকেট ডেকে এই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যেখানে নির্বাচিত কোনো শিক্ষক প্রতিনিধি ছিলেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম এমন ঘটনা ঘটলো।
মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা ও নিয়োগ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী ও ভিসি অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের নিকট ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেন নি।
এর আগে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগে র কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ্যডহক নিয়োগ বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
