• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

সংগৃহীত ছবি

শিশু

স্মার্টফোনের কারণে গড়ে উঠছে মানসিকভাবে ভঙ্গুর প্রজন্ম

  • বাসস
  • প্রকাশিত ১৩ নভেম্বর ২০১৮

স্মার্টফোন! বর্তমানের যাপিত জীবনের অন্যতম মূল অনুসঙ্গ। কিন্তু নুতন প্রজন্মের ওপর এ প্রভাব খুব একটা ইতিবাচক নয়। বরং নেতিবাচক।

সান ডিয়াগো স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জ্যাঁ টুয়েঞ্জ মনে করেন, স্মার্টফোন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অসুখী, অসন্তুষ্ট এক ‘আইজেনারেশন’ তৈরি করছে। খবর এএফপি’র।

আইজেনারেশন, সংক্ষেপে তিনি তাদের আইজেন বলছেন। তারা কারা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই মনোবিজ্ঞানী বলেন, ১৯৯৫ সাল ও এর পরে জন্ম নেয়া প্রজন্ম আইজেন প্রজন্ম। এই প্রজন্ম তাদের কিশোর বয়সের অধিকাংশ সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করে কাটায়। তারা প্রচুর সময় অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যয় করে। এসব মাধ্যমে নানা ধরনের গেম খেলেও তারা অনেক সময় পার করে থাকে। কিন্তু স্ক্রীনের বাইরে বই পড়া, ঘুমানো বা তাদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা করার কাজে অনেক কম সময় ব্যয় করে।

তিনি বলেন, এসব শিশুর বিকাশের গতি খুবই মন্থর। ১৮ বছর বয়সেও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া, চাকরি করা, মদ্যপান বা অভিভাবক ছাড়া বাইরে বের হওয়ার মতো যথেষ্ট যোগ্য তাদেও মনে হয় না। এসব ক্ষেত্রে আগের জেনারেশনের কিশোর-কিশোরীদের তুলনায় তাদের কম যোগ্য মনে হয়।

এসব কিশোর-কিশোরীর আচরণ ও মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে এ মনোবিজ্ঞানী তার গবেষণায় বলেন, ২০১১ ও ২০১২ সালের দিকে কিশোর বয়সের শিশুদের মধ্যে খুব দ্রুত আমি একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করি। তাদের মধ্যে নিঃসঙ্গতাবোধ ক্রমেই বাড়তে দেখি। তারা কোনো কিছু সঠিকভাবে করতে পারে না। তারা ভাবছে তাদের জীবনটা অর্থহীন। আর এসবই হতাশার মূল লক্ষণ।

এসব ক্ষেত্রে ওই অধ্যাপকের পরামর্শ হচ্ছে সুখ ও মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের চিন্তা-চেতনার ওপর নির্ভর করে। আর এ বিষয়গুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জন্মগতভাবে শরীরে আমরা যে জিন বহন করছি তা পাল্টানো সম্ভব নয়, যেমন রাতারাতি দারিদ্র্য দূর করার কোন সমাধান নেই। কিন্তু আমরা আমাদের অবসর সময় কিভাবে ব্যয় করবো সেটা ইচ্ছা করলেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এ কাজে আমরা আমাদের শিশুদের সহায়তা করতে পারি।

এ গবেষণায় আরো উল্লেখ করা হয়, ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা দিনে প্রায় দুই ঘণ্টা বা এর কম সময় ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারে। এতে সামাজিক মাধ্যমের সকল সুবিধা যেমন আমরা পাবো তেমনি এর ক্ষতি থেকেও রক্ষা পাবো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads