রিকশা না পেলে-
আমার ক্ষুধা লাগলেই যেন দেশ থেকে খাবার বিলুপ্ত হয়ে যায়। দেশে কী রিকশার দুর্ভিক্ষ লাগছে নাকি! নাকি সব মঙ্গলগ্রহে বেড়াতে গেছে? যথারীতি দেরি করায় আজকেও বসের সাতকথা শোনা লাগবে। ধুর!
রিকশাওয়ালা বার বার যাবেন নাকি জিজ্ঞেস করলে-
মানুষজন একটু পায়ে হেঁটে ব্যায়ামও করতে পারবে না মরার এই রিকশাওয়ালাদের জ্বালায়। কেবল ঢাকা শহরের কবি আর কাকের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুললেই হবে না, রিকশার সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে হবে। এটি এখন সময়ের বলিষ্ঠ দাবি।
রিকশা দ্রুত চালালে-
এত দ্রুতই যদি চলবে, তাহলে রিকশায় উঠতে গেলাম কেন, বাসই তো ভালো ছিল! রিকশায় উঠলাম এই ভেবে যে এটা একটু রিলাক্সে চলবে, ঢাকা শহরটা ভালোমতো চক্ষু মিলিয়া দেখব। অদ্ভুত সুন্দর ফিলিংসে মন-প্রাণ দুলে উঠবে। কাজের কাজ কিছুই হলো না, ভাড়ার নামে কেবল কিছু অর্থবিয়োগ হবে।
রিকশা স্লো চললে-
এটা রিকশা নাকি ঠেলাগাড়ির গতি বোধগম্য নয়। এই গতিতে চললে আজ আর বাসায় যাওয়া লাগবে না। রাস্তায়ই ডিনার করে ঘুমিয়ে যেতে হবে। কী বুঝে যে রিকশা নিতে গেলাম, আমার হাঁটার গতিই এরচেয়ে দ্বিগুণ দ্রুত। হেঁটে রওনা হলে এতক্ষণে বাসায় গিয়ে দু-একটা মধুর স্বপ্ন দেখা শেষ হয়ে যেত। আফসোস!
ভাড়া বেশি দিলে-
আমার উচিত রিকশা ভাড়া করতে আলাদা একজন অ্যাসিসট্যান্ট রাখা। প্রতিবারই রিকশা ভাড়া করতে ২০-৩০ টাকা ঠকে যাই। ঠকে যাওয়া টাকার সমষ্টি দিয়ে এতদিনে একটা ভালো মানের ফ্ল্যাটই কিনে ফেলতে পারতাম।
বািবতণ্ডা করে ভাড়া কিছু কম দিলে-
আর কিছুক্ষণ তর্ক করলে ভাড়া আরো ৫ টাকা কম দিয়ে মানিয়ে ফেলতে পারতাম হয়তো। ব্যাটার কত্ত বড় সাহস ৬০ টাকার ভাড়া চায় ৮০ টাকা। এখন হলো তো! ৫০ টাকা ভাড়া নিয়ে খুশি হয়ে চলে যেতে হলো। খালি লোকই চিনছো, মানুষ চেনো নাই!