• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
ইনবক্স

ছবি : সংগৃহীত

হাস্যরস

ইনবক্স

  • জেলী আক্তার
  • প্রকাশিত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

কীভাবে কথাটা বলব ভেবে পাচ্ছিলাম না। তখন রাত এগারটা ঊনচল্লিশ  মিনিট। প্রচণ্ড ঠান্ডা, কিন্তু ঘামতে শুরু করেছি। কপাল থেকে টপ টপ করে ঘাম ঝরে পড়ছে। এত রাতে ঘটনাটা কাকে বলব ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। একটা স্লিপিং পিল খেয়ে নিলাম, কিন্তু না কিছুতেই ঘুম আসছে না। বই নিয়ে বসলাম, ভাবলাম পড়তে বসলেই তো ঘুম আসবে, কিন্তু না এই উপায় অবলম্বন করেও ব্যর্থ হলাম।

প্রচণ্ড ভয় লাগছে সঙ্গে পিপাসা। বিছানা থেকে উঠে এক গ্লাস পানি খেয়ে চেয়ারে বসে পড়লাম।

মোবাইলটা চার্জে লাগানোই আছে নিজের নামের প্রথম বর্ণমালায় লক করা, কিন্তু সাহস হচ্ছে না প্যাটার্নটা খুলতে।

সারা রাত এভাবেই কেটে গেল। সকালবেলা লাল চোখ নিয়ে বাইরে এলাম। ব্রাশ করতেও মন সায় দিচ্ছে না। শুধু খুঁজছি অনেক লোক একসঙ্গে কোথায় গল্প করে।

এসব ভাবতেই কলেজে যাওয়ার সময় হয়ে গেল। ফোনটা ব্যাগে নিয়ে কলেজে গেলাম। বাংলা ক্লাস হচ্ছে কিন্তু আমার মাথার ওপর দিয়ে সব যাচ্ছে। অন্যমনস্ক হয়ে আছি। ক্লাস শেষে স্যার চলে গেলেন। বান্ধবীরা এসে বলল- কি রে মুড অফ?

ওদের কাছে ঘটনাটা খুলে বললাম- কাল যেন কে আমাকে হুমকি দিয়েছে।

বান্ধবীরা একসঙ্গে বলে উঠল- কে সে? কি বলেছে?

আস্তে আস্তে বললাম- কে, জানি না। মেসেজটাও ভয়ে সিন করিনি। তবে  মেসেজ আসার সময় শুধু আজকেই শেষ এই বাক্যটা দেখেছিলাম। ওরাও বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ল।

বান্ধবীদের জোরেই ফোনটার প্যাটার্ন খুলে ভয়ে ভয়ে ইনবক্সে প্রবেশ করলাম। বান্ধবীরা তাকিয়ে আছে ফোনের স্ক্রিনের দিকে। অতঃপর দেখলাম কাল যে মেসেজটা এসেছিল তাতে লেখা ছিল- ‘আজকেই শেষ’।

আসলে ওটা মোবাইল অপারেটরের এমবি অফার ছিল।

তারপর ধুপধাপ কয়েকটা মার হলো আমার পিঠে। ভাগ্যিস আমি ব্রেঞ্চের নিচে দিয়ে পালিয়েছি!

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads