• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

সংরক্ষিত ছবি

পণ্যবাজার

চট্টগ্রামে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা, স্বস্তি চিনিতে

  • শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম
  • প্রকাশিত ১০ মে ২০১৮

রমজান মাসকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। মাত্র দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ কম। মহাসড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের কারণে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ যথাসময়ে বাজারে পৌঁছতে না পারায় এ সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তারা। একই সঙ্গে সীতাকুণ্ডের ওজন স্কেলে পণ্যবাহী ট্রাক পরিবহনের ক্ষেত্রে ওজন সীমা আরোপ করার কারণে সড়কপথে চট্টগ্রামে আসা সব ধরনের পণ্যের দামে প্রভাব পড়ছে বলেও জানান তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়- হিলি, সোনামসজিদ, ভোমরা স্থলবন্দর সীমান্তের মোকামগুলোতে বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ২৩ থেকে ২৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের আড়তে গতকাল বুধবার নাসিক জাতের ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ২৯ থেকে ৩০ টাকায়। একইভাবে খাসখালী জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৭ থেকে ২৯ টাকায়।

নগরীর খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, সেখানে মানভেদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

কাজীর দেউড়ি বাজারের মুদি দোকানদার আলী হোসেন জানান, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহেও তারা ২২ থেকে ২৫ টাকা দরে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। কিন্তু মে মাসের শুরু থেকেই হঠাৎ দাম বাড়তে শুরু করেছে এবং দেড় সপ্তাহে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে গেছে।

খাতুনগঞ্জের আমদানিকারক আবুল বশর অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী হাজী আবুল বশর বলেন, ‘বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আসে ভারত থেকে। ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে সড়কপথে পেঁয়াজ চট্টগ্রামে আসে। বর্তমানে মহাসড়কগুলোতে প্রচণ্ড যানজট। গত ১০-১৫ দিন ধরে এ যানজট চলছে। তাই চট্টগ্রামে চাহিদা থাকলেও পেঁয়াজের জোগান কম। এতে করে সীমান্তে কম থাকলেও চট্টগ্রামের বাজারে পেঁয়াজের দাম চড়া।

এদিকে পেঁয়াজের দাম বাড়তি হলেও এখন পর্যন্ত চিনির দাম নিয়ে স্বস্তিতে রয়েছেন চট্টগ্রামের ভোক্তাসাধারণ। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী গত এক মাস ধরে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা দরে। গতকাল বুধবারও খুচরা বাজারে ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে চিনি বিক্রি হয়েছে।

খাতুনগঞ্জ-চাক্তাইয়ের আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবশেষ গত বুধবার চট্টগ্রামে এস আলম গ্রুপের চিনি বিক্রি হয়েছে প্রতিমণ ১ হাজার ৮৯০ টাকায়। একদিন পর চট্টগ্রামের গুদাম থেকেই সরবরাহ পাওয়া যায় সিটি গ্রুপের চিনি। সিটি গ্রুপের চিনির বাজারদর প্রতিমণ ১ হাজার ৮৬০ টাকা। একইভাবে মেঘনা গ্রুপের ফ্রেশ ব্র্যান্ডের চিনির দাম মণপ্রতি ১ হাজার ৮২০ টাকা এবং আবদুল মোনেম সুগার রিফাইনারি লিমিটেডের ইগলু ব্র্যান্ডের চিনি বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৮২০ টাকায়।

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী আরএম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আলমগীর পারভেজ বলেন, ‘চট্টগ্রামে চিনির বাজার এখন স্বাভাবিক রয়েছে। এস আলম বাদে সব চিনি আসে ঢাকা থেকে। সীতাকুণ্ডের ওজন স্কেলের কারণে পরিবহন ব্যয় বাড়ছে। যে কারণে চট্টগ্রামে অন্য ভোগ্যপণ্যের মতো চিনির বাজারও কমছে না।’

উল্লেখ্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে বছরে মোট চিনির চাহিদা ১৬ লাখ টন। এর মধ্যে প্রায় দুই লাখ টন চিনি উৎপাদন করে সরকারি মিলগুলো। বাকিটা আমদানি করে চাহিদা মিটিয়ে থাকে বেশ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads