• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
কাঁচাবাজারে কাটেনি ঈদের আমেজ

রাজধানীর অধিকাংশ বাজারে ক্রেতার আনাগোনা সীমিত

প্রতীকী ছবি

পণ্যবাজার

কাঁচাবাজারে কাটেনি ঈদের আমেজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ জুন ২০১৮

ছুটি শেষে এখনো রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোয় ঈদের আমেজ কাটেনি। ছয় দিন পরও গতকাল শুক্রবার রাজধানীর অধিকাংশ বাজারে ক্রেতার আনাগোনা ছিল সীমিত। আর বেচাকেনা কম হওয়ায় এবং পণ্যের চাহিদা কম থাকায় অধিকাংশ দোকান এখনো বন্ধ রয়েছে।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার পর এখন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকে গ্রাম থেকে ফেরেননি। যারা এসেছেন তাদের মধ্যে অনেকে গ্রাম থেকে মাছ-মাংস কিনে এনেছেন। তবে দুই-একদিনের মধ্যে বাজার আবারো আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।

বাজারে চাহিদা কম থাকায় সবজিসহ কিছু জিনিসের দাম কমেছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে যানজট ও সরবরাহ সীমিত থাকার অজুহাতে বেড়েছে বেশ কিছু পণ্যের দাম। ঢাকায় পুরোপুরি লোকজন না ফেরা পর্যন্ত নিত্যপণ্যের চাহিদা ও জোগান কোনোটি স্বাভাবিক হবে না বলে জানান বিক্রেতারা।

সরেজমিন দেখা গেছে, ক্রেতা চাহিদা না থাকায় কিছু কিছু সবজির দাম কমেছে। পটোল, ঢেঁড়শ, কচুর লতি, ঝিঙা, বরবটিসহ বেশকিছু সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা হারে কমেছে। বিভিন্ন বাজারে এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ৬০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া পেঁপে, আলু ও ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে। তবে দাম বেড়েছে করলা, কাঁকরোল ও কাঁচামরিচের। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর করলা ৮০ টাকা। অপরদিকে প্রতি কেজি কাঁচামরিচের দাম ৮০ টাকা, যা আগে ৬০ টাকায় মিলত। রাস্তায় যানজটে সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার কারণে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

এদিকে ক্রেতা সঙ্কটের কারণে কিছুটা লাগাম টেনেছে মাংসের দামের। রমজানের আগে ৫০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি হলেও এখন ৪৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এদিকে কেজিতে ৫ টাকা কমে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি।

রামপুরা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা এনামুল হক জানান, বাজারে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। তাই আগের তুলনায় কম পরিমাণ মাল কিনছেন এবং অল্প বিক্রি করছেন। পাইকারি বাজারে প্রচুর সবজি আসছে। ফলে দাম কমে এসেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads