• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
ঈদ সামনে রেখে বাড়ছে মসলার দাম

ঈদ-উল-আজহা সামনে রেখে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে মসলার

ছবি : ইন্টারনেট

পণ্যবাজার

ঈদ সামনে রেখে বাড়ছে মসলার দাম

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ আগস্ট ২০১৮

পবিত্র ঈদ-উল-আজহা সামনে রেখে পাইকারি ও খুচরা বাজারে মসলার চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। এতে করে এক শ্রেণির পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে তুলছেন মসলার দাম। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে। সবচেয়ে বেশি চাহিদা জিরা, এলাচ ও দারুচিনির। ফলে এসব মসলার দাম বেড়েছে।

রোববার কারওয়ান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর ঈদ-উল-আজহার আগে পাইকাররা দাম বাড়িয়ে দেন। তাই তারাও বাড়তি দামে বিক্রি করেন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জিরা, এলাচ, দারুচিনি, গোলমরিচ ইত্যাদি মসলার আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছেন। অন্যদিকে সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছেন। ফলে এর প্রভাব পড়ছে খুচরা পর্যায়ে।

কারওয়ান বাজারের মসলার খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি জিরা ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গেল সপ্তাহে ছিল ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা; দারুচিনি প্রতিকেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, যা গেল সপ্তাহে ছিল ৩২০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা; প্রতি কেজি এলাচি ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, যা গেল সপ্তাহে ছিল ১ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা; গুঁড়া হলুদ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, যা গেল সপ্তাহে ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা; গুঁড়া মরিচ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, যা গেল সপ্তাহে ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা; প্রতি কেজি গোটা ধনিয়া ১২০ টাকা, যা গেল সপ্তাহ ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

এছাড়া প্রতি কেজি গুঁড়া ধনিয়া ১৫০ টাকা, যা গেল সপ্তাহে ছিল ১২০ থেকে ১৪০ টাকা; সাদা সরিষা প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, যা সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা; প্রতি কেজি কালো সরিষা ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, গেল সপ্তাহে যা ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, প্রতি কেজি গোলমরিচ ৮০০ টাকা, যা সপ্তাহখানেক আগে ছিল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা; জয়ফল প্রতি পিচ ৮ থেকে ১০ টাকা, যা আগে ছিল ৫ থেকে ৭ টাকা; কিসমিস প্রতি কেজি ৩৮০ টাকা, যা আগে ছিল ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা; লবঙ্গ প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা, যা সপ্তাহ খানেক আগে ছিল ৯০০ থেকে ১ হাজার ১শ টাকা; পেস্তাবাদাম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা, যা সপ্তাহ খানেক আগে ছিল ১ হাজার ৮শ টাকা।

মূলত মধ্য ও সীমিত আয়ের মানুষরা সাধারণত ৫০ গ্রাম থেকে ১০০ গ্রাম মসলা কিনে থাকেন। ফলে মসলার দামে খুচরা ও পাইকারি বাজারের পার্থক্য অনেক। এসব পণ্য যেহেতু খুব কম পরিমাণে বিক্রি হয়, সেহেতু খুচরা ব্যবসায়ীদের মধ্যে মুনাফার পরিমাণও বেশি থাকে।

কুরবানি ঈদে মাংস রান্নার জন্য বাড়তি পরিমাণে মসলা কেনেন ক্রেতারা। এগুলো দেশে উৎপাদিত হয় না, চাহিদার প্রায় পুরোটাই বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে মেটানো হয়। তাই পণ্য মূল্য আমদানি ব্যয়ের ওপর অনেকাংশ নির্ভর করে তবে ঈদে এসব মসলার চাহিদা বেড়ে যায় বলে অনেকে ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে তোলেন বলে কারওয়ান বাজারের অনেক পাইকারি বিক্রেতা স্বীকার করেছেন।

এদিকে মসলার পর্যাপ্ত মজুত আছে। ফলে ঈদে সরবরাহে কোনও সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন মামুন মশলা হাউজের আমদানিকারক মামুন হোসেন।

এদিকে কুরবানি ঈদের আগে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম উঠেছে ৬০ টাকা। এক মাস আগে যা ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা; যা খুচরা পর্যায়ে ৫৫-৫৬ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা।

এছাড়া কেজিতে ১০ টাকা দাম বেড়ে আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে। আর দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজিতে ১৫ টাকা দাম বেড়ে আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads