• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
ভোটের ব্যস্ততায় ক্রেতা কম বাজারে

ভোটের ব্যস্ততায় ক্রেতা কম বাজারে

সংরক্ষিত ছবি

পণ্যবাজার

ভোটের ব্যস্ততায় ক্রেতা কম বাজারে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮

কাল ভোট। আর রাজধানীতে বসবাসরত সারা দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে ফিরেছে নিজ নিজ এলাকায়। এতে রাজধানী বেশ ফাঁকা। এর প্রভাবও পড়েছে কাঁচাবাজারে। সপ্তাহের ছুটির দিন (শুক্রবার) হলেও সব বাজারেই ক্রেতা ছিল স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক কম।

শুধু ক্রেতাই নয়, বিক্রেতারাও ফিরেছে নিজ গ্রামে। তাই বিভিন্ন বাজারে প্রায় এক-চতুর্থাংশ দোকানই বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফুটপাতের দোকানগুলোও বন্ধ করা হয়েছে। পাড়া-মহল্লায় কমেছে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের আনাগোনাও।

ক্রেতা-বিক্রেতা কম থাকায় বাজারে পণ্যমূল্যেও তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। শাক-সবজি, মাছ-মাংসের বাজারসহ মুদি দোকানে কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি এমন তথ্য দিয়েছে বিক্রেতারা। চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, রসুনসহ অন্যান্য পণ্য দরে তেমন কোনো ওঠানামা নেই। বরং দাম আগের সময়ের তুলনায় কম। সব মিলিয়ে মোটাদাগে নির্বাচনকে ঘিরে বাজারে কোনো প্রকার নেতিবাচক পরিবর্তন নেই। এতে স্বস্তি নিয়েই বছরের শেষ সময় পার করছে দেশের মানুষ। এদিকে গতকাল সরেজমিন রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্কট চোখে পড়েছে। এমন একটি বাজার তালতলার সিটি করপোরেশনের কাঁচাবাজার। সেখানে সবজির দোকান ছিল একডজন। এর মধ্যে তিন চারটি দোকান বন্ধ দেখা গেল। পাশের দোকানির কাছে জানতে চাইলে ভোটের কারণে এসব বন্ধ করে বিক্রেতা গ্রামে গেছেন বলে জানানো হয়। আর যেসব দোকান খোলা রয়েছে সেসবেও ক্রেতার আনাগোনা বেশ কম। সেখানে কথা হয় একরামুল নামের সবজি বিক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই কাস্টমার কমছে। আর আজ তো (শুক্রবার) বিক্রি খুবই কম। আগে ১৫ হাজার টাকা দিনে বেচা হতো, এখন আট হাজার টাকার বেশি হয়ই না।

আরেক বিক্রিতা বলেন, ভোটের কারণে ব্যাচেলররা মেস-বাসাবাড়ি ছেড়েছে। আর ফুটপাতে প্রচুর খাবারের দোকান বন্ধ। এসবই ক্রেতা কমার একটি বড় কারণ।

আবার ভোটের এ পরিস্থিতিতে ধীরেসুস্থে বাজার করার মতো মানসিকতা অনেকেরই নেই বলে মন্তব্য করে মতিঝিল এজিবি কলোনি বাজারে বিক্রেতা ফরিদ উদ্দিন বলেন, নেহাত প্রয়োজনে লোক এসেই কিছু জিনিস নিয়ে ফিরে যাচ্ছে। সবার মধ্যে অল্প হলেও আতঙ্ক আছে। আবার অনেকে ভোটের কাজে ব্যস্ত। বাজারে আসছে না।

এমন কথা জানিয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, স্বাভাবিক সময়ে দূর-দূরান্ত থেকেও মানুষ এখানে বাজার করতে আসত। কিন্তু দেশের এ পরিস্থিতিতে কেউ আর ঝুঁকি নিয়ে আসতে চাচ্ছে না। এতে ঘরের কাছে যা পায় তা দিয়ে এখন চালিয়ে নেয়। ফলে ভিড়ভাট্টা নেই পাইকারি বাজারেও।

ভোটের কারণে কিছু জায়গায় খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন হচ্ছে, এ কারণে বিক্রি কিছুটা বাড়ে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে একজন মাংস বিক্রেতা বলেন, রাজধানীতে এমন আয়োজন খুবই কম। সেটা বাড়তি বিক্রি বলা যাবে না। গ্রামগঞ্জে এসব খাওয়াদাওয়ার আয়োজন বেশি হয়।

ভোটে সহিংসতা বাড়লে এর প্রভাব পড়ে বাজারে। সেক্ষেত্রে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। তবে এ বছর স্বস্তিতে ক্রেতা। জানতে চাইলে মালিবাগ বাজারের চাল ব্যবসায়ী ইয়াকুব মিয়া বলেন, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে পণ্য সরবরাহ বাধা পেলে পণ্যের জোগান ভেঙে পড়ে। তখন দাম বাড়ে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads