• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
সবজিতে স্বস্তি, আমিষের দাম চড়া

সবজিতে স্বস্তি, আমিষের দাম চড়া

ছবি : সংগৃহীত

পণ্যবাজার

সবজিতে স্বস্তি, আমিষের দাম চড়া

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

নিত্যপণ্যের বাজারে অব্যাহত রয়েছে শীতের আবহ। রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোয় শাক-সবজি ভরপুর। দামও তুলনামূলক কম। তবে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে মাছ মাংস।

শুক্রবার কয়েকটি বাজার ঘুরে টমেটো, গাজর, বেগুন, মুলা, শিম, শালগম, আলু, বাঁধাকপি, ফুলকপির সরবরাহ দেখা গেছে অনেক। তাছাড়া সব ধরনের শাকও বাজারে ভরপুর। ফলে অনেক বাজারেই তুলনামূলক কম দামেই মিলছে বেশিরভাগ সবজি।

ক্রেতারা বলছেন, সবজির দামে স্বস্তি থাকলেও সাধারণ মানুষকে ভোগাচ্ছে মাছ ও মাংসের দাম। তুলনামূলক কম চাহিদা থাকায় পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া মাছের দামও কম। তবে অন্য সব মাছই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। গরু ও খাসির মাংসের চড়া দাম আগে থেকেই। এর সঙ্গে ব্রয়লার মুরগি। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে দামের বেশি হেরফের নেই চেইন শপগুলোয়।

কারওয়ানবাজারে প্রতি পাল্লা শিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫/৫০ টাকায়। সে হিসেবে প্রতি কেজির দাম পড়ছে ৯/১০ টাকা। ৮ থেকে ১০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে টমেটো। ৬০ থেকে ৬৫ টাকা পাল্লায় বিক্রি হচ্ছে নতুন আলু। সবজি বিক্রেতা মানিক খান বলেন, এখন দুই-একটি বাদে সব সবজির দাম বেশ সস্তা। আরো বেশ কয়েক দিন সবজির দাম এমন সস্তাই থাকবে। তবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে দর আবার বাড়তে শুরু করবে। 

এদিকে, রামপুরা বাজারে আগের সপ্তাহের মতো ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকায়। লাল কক মুরগি ১৯৫ টাকা থেকে ২০৫ টাকায়, পাকিস্তানি মুরগির ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা। কাছাকাছি দাম খিলগাঁও ও মালিবাগ হাজীপাড়ায়। এ অঞ্চলের বাজারগুলোয় গরুর ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংস আগের মতোই ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি, খাসির মাংস ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ দিকে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, টেংরা মাছে ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১২০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, চিতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা।

বাজারে সব থেকে দামি সবজি তালিকায় রয়েছে করলা। বাজার ও মানভেদে করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও এ সবজিটির দাম একই ছিল। করলার পরই রয়েছে লাউ। বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়। এর পরই রয়েছে ধুন্দল। বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে।

এই তিন সবজি বাদ দিলে বাকিগুলোর দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই আছে। গত সপ্তাহে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম কমে বেশিরভাগ বাজারে ১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য কিছু কিছু বাজারে এখনো বেগুন ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের পাশাপাশি ১০ টাকা কেজিতে শালগম, মুলা ও পেঁপে কিনতে পারছেন ক্রেতারা। বিচিছাড়া শিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫ থেকে ২০ টাকা। বিচিসহ শিম ২০ থেকে ৩০ টাকায়।

ফুলকপি ১০ থেকে ২০ টাকা পিস এবং বাঁধাকপি ১৫ থেকে ২৫ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজি দুটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সেই সঙ্গে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পাকা টমেটো ও নতুন আলুর। পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫ থেকে ৩০ টাকায়। নতুন আলু কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা।

দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের। আগের সপ্তাহের মতো নতুন দেশি পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি।

পালং শাক বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১৫ টাকা আটি। লাল ও সবুজ শাক বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১০ টাকা আটি। লাউ শাক পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। সরিষা শাক ৫ থেকে ১০ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ানবাজারে সপ্তাহের বাজার করতে এসেছেন তেজকুনীপাড়ার বাসিন্দা আয়েশা আকতার। তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম কম সেটা বলা যাবে না। এই শীতে যে দামে যেসব জিনিস কিনতে হচ্ছে আগের শীতে দাম আরো কম ছিল। দিন দিন জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে। বাড়ি ভাড়ার মতো জিনিসপত্রের দাম চিড়ে চ্যাপ্টা করছে মানুষকে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads