খুচরা বাজারে ২০০ টাকা কেজির পেঁয়াজের দাম কমে যখন ৩৫ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে এসেছিলো, ক্রেতারাও একটু খুশি মনে পেয়াজ কেনা শুরু করেছিলেন।
এ সময় আবার পেঁয়াজের ঝাঁজ যেন বাজারে এর দামের মধ্যে দিয়ে ছড়াতে শুরু করেছে। তিন দিনে হুট করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।
এদিকে, বাজারের এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আজ অভিযান চালাচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
পেঁয়াজের সরবরাহে এখন কোনা ঘাটতি নেই। বাজারে দেশে উৎপাদিত নতুন পেঁয়াজ আসছে, ভারত থেকেও চলছে আমদানি।
এরপরও ব্যবসায়ীরা তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছেন। ৪০ টাকা কেজি পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায়।
শুধু পেঁয়াজ নয়, দাম বেড়েছে রসুনেরও। প্রতি কেজি রসুন ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আজ শনিবার সকাল ছয়টা থেকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর পেঁয়াজের আড়তে অভিযান চালিয়েছে র্যাব।
এতে ওই বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকায় নেমে এসেছে। রসুনের দামও ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।
তবে রাজধানীর বড় পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজার ও মিরপুর এক নম্বর কাঁচাবাজার এবং অন্যান্য খুচরো বাজারে পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
রাজধানীর সব কটি সুপার স্টোর ও মুদি দোকানেও পেঁয়াজের কেজি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
যদিও গতকাল শুক্রবার বড় পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ সংস্থার অভিযান চালায়, কিন্তু সেখানেও আজ পেয়াজের দাম লাগামহীন ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
সকাল ছয়টা থেকে যাত্রাবাড়ীর পেঁয়াজের আড়তে চলা র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সকাল নয়টার মধ্যে একজন ব্যবসায়ীকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীকে র্যাব থেকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির প্রমাণ পেয়েছে র্যাব।
৬৫ টাকা কেজি দরে তাঁরা যে পেঁয়াজ বিক্রি করছিলেন, তা কত টাকায় কেনা হয়েছে, সেই কাগজ দেখাতে বললে ওই ব্যবসায়ীরা তা দেখাতে পারেননি।