• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

পারিবারিক গোরস্থানে শেষ শয়ানে শায়িত হবেন কাকন বিবি

  • সিলেট প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২২ মার্চ ২০১৮

 

মুক্তিযোদ্ধা নুরজাহান কাকন বিবির মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের জিরারগাঁও গ্রামে নিয়ে যাওয়া হেয়েছে। সেখানেই পারিবারিক করবস্থানে শেষ শয়ানে শায়িত হবেন তিনি।

নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন কাকন বিবি। এরপর গত  বুধবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শতবর্ষী এই নারী মুক্তিযোদ্ধা।

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একে এম মাহবুবুল হক জানান, বৃহস্পতিবার সকালে  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা তাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে সাড়ে ৯টায় কাকন বিবির মরদেহ নিয়ে দোয়ারাবাজারের পথে যাত্রা শুরু করা হয়।

কাকন বিবির মেয়ে সখিনা বিবি জানান, দোয়ারাবাজারের মানুষ মরদেহের জন্য অপেক্ষা করছেন। মরদেহ পৌঁছালে সর্বস্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর বিকাল ৪টায় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে

কাকন বিবির জন্ম ১৯১৫ সালে মেঘালয়ের নেত্রাই হাসিয়া পল্লীতে।  ১৯৭১ সালে ৩ মাস বয়সী মেয়ে সখিনাকে রেখে মুক্তিযুদ্ধে যান কাকন বিবি। প্রথমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গুপ্তচরের কাজ করলেও পরবর্তীতে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন। পাক বাহিনীর হাতে আটক হয়ে নির্যাতনের শিকারও হয়েছেন এই বীর যোদ্ধা।

ছাড়া পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর কাছে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নেন কাকন বিবি। রহমত আলীর দলে সদস্য হয়ে সশস্ত্র যুদ্ধ করেন তিনি। একইসঙ্গে চালিয়ে যান গুপ্তচরের কাজ। ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে টেংরাটিলার সম্মুখ যুদ্ধে কয়েকটি গুলি তার শরীরে বিদ্ধ হয়।

১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন। কিন্তু তার এ বীর প্রতীক খেতাব এখনো গেজেটভুক্ত হয়নি।

সিলেট মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ রানা জানান, মুক্তিযুদ্ধে কাকন বিবির অবদান অনস্বীকার্য। একজন নারী হয়েও জীবনবাজি রেখে তিনি সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। কাকন বিবির এ অবদান আমরা চিরদিন স্মরণ রাখবো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads