• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

ফাইল ফটো

সারা দেশ

সেনাবাহিনীর সঙ্গে চুক্তি সই

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগাপ্রকল্প শুরু হচ্ছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ এপ্রিল ২০১৮

একনেকে অনুমোদনের আট মাস পর শুরু হচ্ছে মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) মেগাপ্রকল্পের কাজ। বাস্তবায়ন নিয়ে সোমবার চট্টগ্রামের হোটেল র্যাডিসন ব্লু-তে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএ’র চুক্তি সই হওয়ার  কথা। সিডিএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চুক্তি সইয়ের পর দ্রুততম সময়ে শুরু হবে নগরীর ১৬ খালের সংস্কার ও খনন।

সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বাংলাদেশের খবরকে বলেছেন, জলাবদ্ধতা বন্দরনগরীর প্রধান সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে চুক্তির মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এ মেগাপ্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে অনেকের মধ্যে সংশয় ছিল। আশা করছি, চুক্তির পরই প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু হবে।

৯ আগস্ট জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার মেগাপ্রকল্প অনুমোদন দেয়।

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে এটি এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। এ নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন প্রস্তাবিত প্রকল্প বাদ দিয়ে সিডিএ-কে দিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সরকারি উদ্যোগ নিয়েও রয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। মাসের শুরুতে এ প্রকল্পে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ায় এগোতে শুরু করে প্রকল্প।

সিডিএ সূত্র জানায়, প্রথম পর্যায়ের অর্থ বরাদ্দের পর ১১ মার্চ প্রকল্প মনিটরিং কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির চেয়ারম্যান গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে চুক্তি করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। প্রকল্পের আওতায় নগরীর ৩৬ খাল খননের কথা থাকলেও প্রথম ধাপে চলতি বছর বর্ষার আগে ১৬ খালের সংস্কার ও খননের সিদ্ধান্ত হয়। ১৬ খালের মধ্যে রয়েছে চাক্তাই খাল, চাক্তাই ডাইভারসন খাল, বির্জা খাল, নোয়া খাল (বাইজ্জা খাল ও বালু খাল নামেও পরিচিত), খন্দকিয়া খাল, নাছির খাল,  রাজাখালী খাল-১, ২ ও ৩, মির্জা খাল, মরিয়মবিবি খাল, হিজরা খাল, মহেশখাল, কলাবাগিচা খাল, ডোম খাল ও বামুনশাহী খাল।

এদিকে আসন্ন বর্ষার বাকি আর মাত্র দুই মাস। এই অল্প সময়ের মধ্যে নগরীর ১৬ খালের সংস্কার ও খননকাজ আদৌ সম্ভব হবে কি না কিংবা চলতি বর্ষা মৌসুমে নগরবাসী প্রকল্পের কতটা ইতিবাচক ফল পাবে কি পাবে না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে নগর পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের খবরকে বলেন, আগামী বর্ষায় নগরীতে জলাবদ্ধতা হবে কী হবে না সেটা আমি বলতে পারব না। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত ১৬ খাল সংস্কার করে নগরবাসীর দুর্ভোগ যতদূর সম্ভব লাঘব করা।

নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলওয়ার হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, বর্ষা অতি সন্নিকটে। প্রকল্পের কাজ শুরুতে অনেক বিলম্ব হয়ে গেছে। তারপরও আমি আশাবাদী হতে চাই। যেহেতু সিডিএ চেয়ারম্যান অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তিনি এ খাল সংস্কার ও খননের কাজ করবেন। তা যদি করা হয় এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে চুক্তির পর পর যদি চিহ্নিত খালগুলো সংস্কার ও খননের কাজ শুরু হয় তাহলে চলতি বর্ষায় হয়তো কিছুটা দুর্ভোগ কমবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads